ডেস্ক রিপোর্ট: শহরে প্রবেশ করলেই এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশের মুখোমুখি হতে হচ্ছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের নাগরিকদের। দেশ-বিদেশের পর্যটকরাও বিব্রত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। শহরে উড়ছে সীমা-পরিসীমাহীন ধূলি-বালির কণা। চোখে দেখা না গেলেও শহরে প্রবেশ করলেই মুহূর্তেই নাক মুখ দিয়ে প্রবেশ করছে ধুলো বালি। বাড়িতে ফিরলেই দেখা যায় ধূলির আস্তরনে চুল সাদা হয়ে গেছে।
নাগরিকরা বলছেন শহরটি এখন ধূলির শহরে পরিণত হয়ে গেছে। অজান্তেই এসব ধুলাবালি ঢুকে পড়ছে শরীরে। বাড়ছে ধূলি বালি সংক্রান্ত রোগ। ধূলি বালির কারণে বাতাস দূষিত হয়ে পড়েছে। বায়ু দূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, যক্ষা, হাঁপানি, চোখের সমস্যা, ব্রংকাইটিস, সর্দি, কাঁশিসহ ছড়িয়ে পড়ছে ফুসফুসে ক্যান্সারের মতো রোগ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেলার বেশ কয়েকটি নদী থেকে বালি ও পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় আমদানি হচ্ছে পাথর। এসব বালি পাথর ট্রাকের মাধ্যমে সারা দেশে রফতানি হচ্ছে। সারাদেশের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি শহরের উপর দিয়ে নির্মিত। প্রতিদিন অন্তত এক হাজার পাথর-বালির ট্রাক তাই শহরের উপর দিয়েই চলাচল করে। অন্যদিকে ট্রলিসহ অন্যান্য পরিবহনেও নানা বালি, পাথর, ইট পরিবহন করা হয়। এসব পরিবহন থেকে প্রতিনিয়ত ধূলি-বালি ছড়িয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি সড়ক ও জনপথ বিভাগ শহরের রাস্তার দুই পাশে কয়েক ফিট রাস্তা ইট ও বালু বিছিয়ে প্রশস্থ করেছে। এ কারণে কয়েক হাজার টন বালি ফেলা হয়েছে শহরে। বর্তমানে শহর ছেয়ে গেছে ধূলিবালিতে। এছাড়াও বিভিন্ন নির্মাণ কাজের কারণেও ছড়িয়ে পড়ছে ধুলো-বালি। রাস্তার দুই পাশে অবস্থিত খাবারের দোকানগুলোতে সাজিয়ে রাখা জিনিসপত্রের উপরে পড়ছে ধূলির আস্তরণ। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও ঢুকে পড়ছে এসব ধূলি বালি। অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ছে পরিবেশ। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে পৌরবাসী। ধুলা দূষণের কারণে নানা ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন
আপনার মতামত লিখুন :