শিরোনাম
◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে ◈ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি ◈ প্রথমবারের মতো জাপানের রাজনৈতিক দলের নেতা হবে AI ◈ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৫ মার্চ, ২০২১, ১০:৩৯ রাত
আপডেট : ০৫ মার্চ, ২০২১, ১০:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইরাকে ঐতিহাসিক সফরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দেশটিতে এটিই প্রথম কোনো পোপের সফর। এই ঐতিহাসিক সফরে শুক্রবার ইরাকে পৌঁছেছেন পোপ ফ্রান্সিস। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এটি পোপ ফ্রান্সিসেরও প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সফর।

সফরে ইরাকে ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসা খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করবেন পোপ। এছাড়া ইরাকের প্রধান শিয়া মুসলিম নেতার সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে আন্ত-ধর্মীয় সংলাপ এগিয়ে নিতেও প্রচেষ্টা চালাবেন তিনি।

ইরাকের উত্তরে অবস্থিত ইরবিল শহরের এক স্টেডিয়ামে গণ জমায়েতে অংশ নেবেন পোপ ফ্রান্সিস। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্যকে পোপের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়া ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জারি রয়েছে কারফিউ।

ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমি বিমানবন্দরে পোপকে অভিবাদন জানান। বিমানে পোপ বলেন, আবারও ভ্রমণ করতে পেরে তিনি খুশি। তিনি বলেন, ‘এটি একটি প্রতীকী সফর এবং এই ভূমির প্রতি এটি কর্তব্য যে ভূমি অনেক বছর ধরে শহীদ হয়েছে।’

সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর গত দুই দশকে ইরাকে খ্রিস্টান জনসংখ্যা কমতে কমতে ১৪ লাখ থেকে আড়াই লাখে পৌঁছেছে। বর্তমানে দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ খ্রিষ্টান।

ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক হামলার সময় সহিংসতা এড়াতে সেখানকার অনেক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী অন্য দেশে পালিয়ে যায়। এরপর ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট ইরাকের উত্তরাঞ্চল দখল করলে সেসময় আরেকটি বড় সংখ্যক খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী ইরাক ত্যাগ করে। আইএস সেখানে খ্রিস্টানদের গির্জা ধ্বংস করে ও সম্পদ দখল করে। তাদের শর্ত দেয়া হয়- কর দিতে হবে অথবা ধর্মান্তরিত হতে হবে, নয়তো মৃত্যু মেনে নিতে হবে।

পোপের সফরের মূল উদ্দেশ্য ইরাকে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হওয়া খ্রিস্টানদের সাহস যোগানো। এছাড়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাবেন।

২০১৪ সালে আইএস বাহিনী ইরাকের নিনেভেহ অঞ্চল দখল করার পর সেখানকার যেসব খ্রিস্টান কুর্দিস্তান অঞ্চলের ইরবিলে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তারা এই সফরকে সামনে রেখে পোপের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছেন।

সূত্র : বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়