রাশিদুল ইসলাম : [২] ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ বলেছেন যদি ২০২১ সালের সঙ্গে ২০১৫ সালের (পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরের বছর) মিল না থাকে তাহলে বর্তমান সময়ের সঙ্গে ১৯৪৫ সালেরও (জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতাধর পাঁচ দেশের অনুমোদন) মিল নেই। সুতরাং আসুন আমরা জাতিসংঘ ঘোষণাকে পরিবর্তন করি এবং যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ভেটো ক্ষমতার সর্বাধিক অপপ্রয়োগ করেছে বলে তার কাছ থেকে এই ক্ষমতা কেড়ে নিই। প্রেসটিভি
[৩] শেরম্যান বৃহস্পতিবার দাবি করেন, ২০২১ সালে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি বদলে গেছে, কাজেই পরমাণু সমঝোতাকেও নতুন পরিস্থিতিতে ঢেলে সাজাতে হবে। [৪] জবাবে জাওয়াদ জারিফ বলেন পরমাণু সমঝোতা আরেকবার আলোচনার কোনো বিষয়বস্তু নয়।
[৫] ২০১৫ সালে পরমানু সমঝোতা নিয়ে মার্কিন আলোচক দলের সদস্য হিসেবে পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরে ভূমিকা রেখেছিলেন শেরম্যান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
স্পষ্ট করে বলেন, পরমাণু সমঝোতা একবার সই হয়েছে এবং এটিকে আবার কার্যকর করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে নিঃশর্তভাবে পরমানু সমঝোতায় ফিরে আসতে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
[৬] মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন কূটনীতির পথ খোলা রয়েছে তবে ইরানকে আগে পরমাণু সমঝোতার প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে আসতে হবে। কারণ আমরা যখন এ সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছি তখন ইরানও এই বাক্স থেকে সরে পড়েছে।
[৭] তবে যুক্তরাষ্ট্র ওই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি ব্লিঙ্কেন।
আপনার মতামত লিখুন :