ইউসুফ মিয়া: [২] আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মমতাজ বেগমের ঘরবাড়ী মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু নেই। সবকিছু হারিয়ে তিনি এখন নিঃস্ব,সর্বশান্ত হয়ে দুইটি সন্তান নিয়ে বাড়ীর সামনে দাড়িয়ে আছে দেখার কেহ নাই আল্লা ছাড়া।গত ২২ দিন ধরে স্বামী ও অবুঝ দুটি সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন অতিবাহিত হচ্ছে এবং পরিবারের আহাজারির কিন্তু অদ্যাবধি তাদের পাশে সেভাবে কেউ দাড়ায়নি।
[৩] গত ১১ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৮ টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ছাহের মন্ডল পাড়ায় অগ্নিকান্ডের এ ঘটনাটি ঘটে।মমতাজ বেগম ওই গ্রামের দরিদ্র রিক্সাচালক আলমাস শেখের স্ত্রী।আগুনে তার থাকার ২ টি ছাপড়া ঘর,১ টি রান্না ঘর, ৪ টি ছাগল, আশা এনজিও থেকে নেয়া ঋনের ৫০ হাজার টাকা, বসবাসের জন্য জমির দলিলপত্র,ধান,চাল,স্বামী -স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র,বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ, কাপড়-চোপর ও গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
[৪] স্থানীয়রা গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসকে খবর পেয়ে ফায়র সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলেও সরু রাস্তার কারনে জামতলা হাইস্কুলের পাশ দিয়ে মমতাজের বাড়ীতে যেতে পারেনি।খবর পেয়ে স্থানীয় পুরুষ ও মহিলা ইউপি সদস্য এসে মমতাজকে ৫শ টাকা করে সাহায্য করে যান।ইউপি চেয়ারম্যান আসেননি।তবে ১০ কেজি চালসহ কিছু ত্রান সামগ্রী পাঠিয়ে দেন।
[৫] ৫ই মার্চ শুক্রকার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ৫ শতকের শূন্য ভিটেতে দুটো সন্তান নিয়ে কান্নাকাটি করছেন মমতাজ।স্বামী ফরিদপুর শহরে রিক্সা চালান।আশপাশের লোকজন যে যা দেয় তাই খেয়ে অতি কষ্টে তাদের দিনরাত কাটছে।রাতে পাশের একটি বাড়ির রান্নাঘরে গিয়ে সন্তান দুটিকে নিয়ে রাতযাপন করেছে।
[৬] এ সময় তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, এক বছর আগে অনেক ধারদেনা করে বড় মেয়েটিকে বিয়ে দেই।কোনভাবেই দেনা পরিশোধ করতে পারছিলাম না।তাই পাওনাদারদের চাপে আগুন লাগার আগেরদিন আশা এনজিও হতে ৫০ হাজার টাকা ঋন নেই।কাউকে একটি টাকাও দিতে পারিনি।এরমধ্যেই আগুনে পুড়ে সবশেষ হয়ে গেল।এখন আমাদের কি হবে, কিভাবেই বা এত টাকা পরিষদ কিভাবে করবো। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :