ডেস্ক রিপোর্ট: খুলনাতে তিন-চার পাতা বিশিষ্ট সারি সারি তরমুজ চারা। মাঠের পর মাঠ তরমুজ ক্ষেত।বেশির ভাগ মাঠে চারা গজিয়েছে। কোথাও আবার চারা বাড়তে শুরু করেছে। পানি ও সার দেওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।খলনার দাকোপ, ডুমুরিয়া, রূপসা ও বটিয়াঘাটা উপজেলার তরমুজ চাষিরা এখন তপ্ত রোদের মধ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ক্ষেত ঘিরে এক ধরনের প্রাণ চাঞ্চল্য কাজ করছে। বিস্তীর্ণ ক্ষেতে তরমুজ গাছের চারা দেখে ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। খুলনা বিভাগের মধ্যে খুলনা জেলায় সবচেয়ে বেশি তরমুজের চাষ হয় বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ডুমুরিয়া উপজেলার মলমলিয়া গ্রামে তরমুজ ক্ষেত পরিচর্যা করার সময় কথা হয় কামাল বাওয়ালীর তিনি বলেন, ১০ বিষা জমিতে পাকিজা জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে অনেক চারার তিন-চার পাতার হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো পাওয়া যাবে।
একই উপজেলার ছোটবন গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় নামে এক চাষি বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে তরমুজ চাষ শুরু করেছিলেন। ধারাবাহিকভাবে ফলন ভালো পেয়েছেন। এবার দুই বিঘা জমিতে তরমুজের বীজ বপন করেছেন। অনেক বীজের চারা গজিয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ডুমুরিয়ায় দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে তরমুজ আবাদ। লবণাক্ততা ও মিষ্টি সেচ পানির অভাবে আমন পরবর্তী সময়ে উপজেলার শরাফপুর, মাগুরখালি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা, শোভনা ও সাহস ইউনিয়নের কিছু এলাকা পতিত থাকত। ২০১৯ সালে উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের তক্তামারি গ্রামের কৃষক কামাল বাওয়ালী কৃষি বিভাগের সহায়তায় ব্লুগোল্ড প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মতো তরমুজের একটি প্রদর্শনী পান এবং প্রথমবারেই বাজিমাত করেন।
প্রথমবারেই তিনি সাত লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেন। সেই থেকে শুরু। এ বছর উপজেলার ঝালতলা, শরাফপুর, বাহির আকড়া, মাগুরখালি, শোভনা, শিবপুর, মাদারতলা বিলের যেদিকে চোখ যায় কেবল তরমুজের ক্ষেত। ছোট্ট একটি প্রযুক্তি এত বড় প্রভাব ফেলতে পারে তার বাস্তব উদাহরণ ডুমুরিয়া উপজেলার তরমুজ। এ বছর ৪৫০ একর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। কৃষককে সার, বীজ প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।বাংলা নিউজ২৪
আপনার মতামত লিখুন :