লিহান লিমা: [২] জাপানোর অলিম্পিক আয়োজক কমিটির সভাপতি সেইকো হাশিমিতো ইঙ্গিত দিয়েছেন আগামী ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টোকিও অলিম্পিকে বিদেশীদের প্রবেশাধিকার থাকছে না। তিনি বলেন, ‘যদি পরিস্থিতি খারাপ হয় তবে জাপানিদের উদ্বেগকেই অগ্রাধিকার দেয় হবে।’ তবে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে নি। গার্ডিয়ান
[৩] জাপানের সংবাদপত্র মাইনিচির প্রকাশিত প্রতিবেদনে এক সরকারী সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশী দর্শকদের অলিম্পিক দেখতে আসার অনুমতি দেয়া অসম্ভব।’
[৪] গত ১৮ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টোকিও ও তার পার্শ্ববর্তী শহরগুলোতে একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষা সংস্থার চালানো জরিপে দেখা যায়, ৫৮ ভাগ বলেছেন তারা চান না অলিম্পিকে কোনো বিদেশী দর্শক আসুক। এই দর্শকের মধ্যে বিদেশি মিডিয়াকেও ধরা হয়েছে। ৯১ ভাগ বলেছেন, তারা স্টেডিয়ামে দর্শকসংখ্যা একেবারেই সীমিত কিংবা ঢুকতে না দেয়ার পক্ষে। ৮০ ভাগ জাপানি এখনো অলিম্পিক বাতিল বা স্থগিত করতে চান।
[৫] সরকারী সূত্রে বলা হয়েছে, এই সমীক্ষাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে জাপান সরকার। চলতি মার্চ মাসের মধ্যেই অলিম্পিকে কারা আসতে পারবে ও দেশীয় কত জন সমর্থক স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে পারবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
[৬] জাপানের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মহামারীর কারণে এবারের অলিম্পিকের বর্ণময় মশাল মিছিল, উদ্বোধনী ও সমাপ্তি অনুষ্ঠান খুবই সংক্ষিপ্ত হবে। অলিম্পিকে আসা বিদেশী অ্যাথলেটদের অবশ্যই জাপানে প্রবেশের পূর্বে টিকা গ্রহণ করতে হবে ও করোনা পরীক্ষা করতে হবে।
[৭] চলতি বছর জানুয়ারিতে টোকিও সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছলে চলতি বছরেও অলিম্পিক আয়োজনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। জাপানে এ পর্যন্ত করোনায় ৭ হাজার ৯৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বিশেষ কারণ ছাড়া এখনও জাপানে সীমান্ত পারাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :