আবদুল আলী:[২] টাঙ্গাইল ও শ্রীমঙ্গলের আনারসের সুনাম ছড়িয়ে ছিল দেশজুড়ে। সময়ের ব্যবধানে পাহাড়ি টিলা ভূমির আনারস এখন সেই জায়গা দখলের দ্বারপ্রান্তে। পাহাড়ি এলাকায় আনারস এখন বারোমাসি ফলে পরিনত হচ্ছে। বর্তমানে পাহাড়ে সারাবছর পাওয়া যাচ্ছে আনারস।
[৩] পাহাড়ের আনারস গুনে মানে পরিপূর্ণ ও মিষ্টি হওয়ায় সারাদেশে চাহিদাও প্রচুর। এতে পাহাড়ের জেলা খাগড়াছড়ির, গুইমারা, মানিকছড়ি, ও পার্শবতী মহালছড়ি উপজেলায় আনারস চাষে প্রতিযোগিতা চলছে। আনারস চাষে কৃষকদের মনোযোগ বেড়ে গেছে বহুগুন। একসময় যারা কৃষিকাজ করার চিন্তাও করত না তারাও এখন আনারস চাষী।
[৪] ব্যাপক হারে আনারস পাওয়া যায় বিভিন্ন হাটবাজারে তাই স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পাইকারদের পদচারনায় মুখরিত থাকে পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়ির গুইমারা, মাটিরাঙ্গা,ও মানিকছড়ি ও মহালছড়ি বাজার। ব্যাবসায়ীদের হাত ধরেই পাহাড়ের আগাম আনারস জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
[৫] গত কয়েক বছর ধরে পাহাড়ি এসব এলাকায় আনারসের চাষ হচ্ছে। মৌসুমে আনারস চাষে যেখানে চাষিদের লোকসান গুণতে হতো সেখানে মৌসুমের বাইরে আগাম আনারস চাষে বাড়তি লাভের মুখ দেখছে চাষিরা। এক সময় যারা পাহাড়ি এলাকায় জুম চাষ নিয়ে ব্যস্ত থাকত পাহাড়ের বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর লোকজন এখন তারা ব্যস্ত আনারস চাষ নিয়ে।
[৬] পাহাড়ের পর পাহাড় এখন আনারসের বাগান। আর এসব বাগান থরকে সরাসরি পরিবহনের ব্যাবস্হার উন্নতি হওয়ায় অনেকাংশে জমিনেই আনারস বেচাকেনা হয়ে যায়।যাতে উৎসাহিত হচ্ছে কৃষকেরা, সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় মানিকছড়ি উপজেলার গভামারা এলাকার চাষী(একসময়ের কাঠ ব্যাবসায়ী)আবুল বাশার ও গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়ার কামাল হোসেনের সাথে তারা জানান অসময়ে আনারস চাষ লাভবান হওয়ায় তারা কাঠ ব্যাবসা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেজন্য আনারস চাষ শুরু করেছে দুইজনে প্রায় ১০/১২ বিঘা জমিতে আনারস চাষ করেছেন আশা করছেন লাভবান হবেন। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :