ভূঁইয়া আশিক রহমান : [২] রাজনৈতিক বিশ্লেষক আফসান চৌধুরী বলেন, পল্টন ময়দানে মিটিং করা বন্ধ হয়ে গেছে, সেটা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সরকারই চায় সকলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মারপিট করুক।
[৩] মানুষ ফেসবুকে কোনো কিছু চিন্তাভাবনা করে লেখেন না। এজন্য সরকার ফেসবুকের দিকে চোখটা রাখে।
[৪] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, জনসমর্থন আদায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন শক্তিশালী মাধ্যম। মানুষ রাস্তায় নামার সুযোগ খুব কম পায়, ফেসবুক ছাড়া আর কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে!
[৫] কিছু কিছু ইস্যুতে ফেসবুকে প্রচণ্ড জনমত তৈরি হয়, সরকার বাধ্য হয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। ফেসবুক না থাকলে সরকার হয়তো কোনো চাপ অনুভব বা কর্ণপাত করতো না। দাবি আদায়ে ফেসবুকের পজেটিভ ইম্পেক্ট অবশ্যই আছে।
[৬] অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরিফ জেবতিক বলেন, প্রচুর সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছে ফেসবুকের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক আন্দোলনগুলোতে দলনিরপেক্ষ মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়ছে। কারণ অনেক মানুষ দলীয় রাজনীতি করেন না, ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনে সোচ্চার হতে চান।
[৭] শাহবাগে নিয়মিত নানান ইস্যুতে যেসব প্রতিবাদ হয় বিভিন্ন ব্যানারের উদ্যোগে, অধিকাংশই হচ্ছে নির্দলীয় ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের প্ল্যাটফর্ম। তারা সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।
[৮] দেশে কার্যকর বিরোধী দলের অনুপস্থিতি প্রকট, ফলে সাধারণ মানুষ নিজেরাই এগিয়ে আসছে জনমত গঠনে। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :