শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ০৪ মার্চ, ২০২১, ১০:৩৯ দুপুর
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২১, ১০:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খান আসাদ: পুঁজিবাদী অর্থনীতি ব্যবস্থাটাই এমন, একদিকে বিলিয়নিয়ার তৈরি করবে, অন্যদিকে বেকারত্ব

খান আসাদ: গত ১১ মাসে, করোনাকালে, আমেরিকার বিলিয়নিয়ারদের আয় বেড়েছে ১.৩ ট্রিলিয়ন, শতকরা হিসেবে ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি। আর এ একই সময়ে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়েছে ৭ কোটি ৩ লাখ মানুষ। কী মনে হয়? মাত্র ৬৫০ জন বিলিয়নিয়ার পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান, ফলে এই মহামারীর দুর্যোগের কালেও ৪৪ শতাংশ সম্পদ বাড়াতে পেরেছে? আর ৭ কোটি ৩ লাখ লোক যারা বেকার হয়ে গেছে, তারা সবাই অলস আর ভোঁদাই? এরকম ভাবলে আপনি নিজেই একটি বদনা। এখানেই সিস্টেম বোঝাটা জরুরি। আখ মাড়াইর কল চিনেন? কিংবা সরিষার তেলের ঘানি? সিস্টেমটা এমন যে একদিক দিয়ে আখ দেবেন, অন্যদিক দিয়ে দুই ধরনের জিনিস বেরুবে, রস এবং ছোবড়া। পুঁজিবাদী অর্থনীতি ব্যবস্থাটাই এমন, একদিকে বিলিয়নিয়ার তৈরি করবে, অন্যদিকে বেকারত্ব। একদিকে প্রচুর খাবার উৎপাদন করবে, অন্যদিকে না খাইয়ে মানুষ মারবে। সিস্টেমটার সমস্যা হচ্ছে, সুষম বন্টন অনুপস্থিত। সিস্টেমটা সহিংস, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন লাগে।

আমার মার্ক্সবাদী বন্ধু, সশস্ত্র সংগ্রামে বিশ্বাস করতো, আমেরিকায় গিয়ে এখন ডেমোক্রাটদের ভোট দেয়। কারণ কিছু না, ওই সম্পদ বণ্টন প্রশ্নে, ডেমোক্রাটরা ‘মন্দের ভালো’। ডেমোক্রাট নেত্রী এলিজাবেথ ওয়ারেন ও প্রামিলা জয়াপাল নতুন একটি ‘সম্পদ কর’ প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। যাদের আয় ৫০ মিলিয়ন থেকে ১ বিলিয়ন, তারা ২ শতাংশ এবং যারা বিলিয়নিয়ার তারা ৩ শতাংশ সম্পদ কর দেবে। যদি দেয়, তাহলে প্রায় ১ ট্রিলিয়নের উপড়ে টাকা আসে যা দিয়ে বেকারত্ব, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে আমেরিকার মানুষদের সেবা দেওয়া যায়।

এই যে ‘সম্পদ কর’ নিয়ে প্রস্তাব, এ প্রস্তাব আকাশ থেকে পড়েনি। দেশপ্রেমিক আমেরিকান কিছু বুদ্ধিজীবীকে গবেষণা করে বের করতে হয়েছে যে কারা কতো পারসেন্ট ট্যাক্স দিলে মোটামুটি কিছুটা আয় বৈষম্য কমানো যায়। আয় বৈষম্য কমানোর ‘বাস্তবায়নযোগ্য’ পরিকল্পনা করেছে। প্রভোকেটিভ বাৎচিত সিলসিলা তো বহুৎ সহজ হায় না? মাগার ঘিলু মে পরিশ্রম কর কে বিকল্প প্রস্তাব আনা তো জরুর হায় না কি? (উগ্র জাতীয়তাবাদ পরিহার করে, বাংলা ভাষায় আরবি উর্দু শব্দের ব্যাবহার শেখার চেষ্টা করছি।) ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়