শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ০৪ মার্চ, ২০২১, ০৬:৫২ সকাল
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২১, ০৬:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আড়াই লাখ ঘুষ দিয়েও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আমার নাম নেই

ডেস্ক রিপোর্ট : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় 'সন্দেহ' ক্যাটাগরিতে নিজের নাম দেখে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন হাওলাদার। এ তালিকায় নাম থাকাটা তাঁর জন্য লজ্জা ও অপমানের বলে জানান তিনি।

দ্রুত সময়ের মধ্যে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা না হলে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন বলে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন সোহরাব হোসেন হাওলাদার। তিনি উপজেলার পূর্ণবতী গ্রামের মৃত ছবেদালী হাওলাদারের ছেলে। তার গেজেট নম্বর ১৭৬৫।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৬৮২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতাগ্রহণ করছেন। এই ৬৮২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে থেকে ৩৩৬ জনের যাচাই-বাছাই তালিকায় নাম আসে। এই ৩৩৬ বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে ২৬৩ জনের যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কমিটি কর্তৃক ২৬ জন নামঞ্জুর, ১১৮ জন দ্বিধাবিভক্ত ও ১১৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সর্বসম্মতিতে গৃহীত তালিকায় রাখা হয়। ৭৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে অনুপস্থিত থাকায় কমিটি তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।

নামঞ্জুর ও সন্দেহ তালিকায় থাকা অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানেরা কমিটির বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন হাওলাদার বলেন, আমি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলাম। আমার সমস্ত বৈধ কাগজপত্র আছে। ২০০৯ সাল থেকে আমি ভাতা পাচ্ছি। এখন যাচাই-বাছাইয়ের নামে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমার কাছ থেকে যাচাই-বাছাইয়ের নাম করে কমিটির এক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে। আমি অনেক কষ্ট করে এই টাকা জোগাড় করেছি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও কমিটি কর্তৃক আজ দ্বিধাবিভক্ত সিদ্ধান্তের তালিকায় আমার নাম। এটা আমার জন্য অত্যন্ত লজ্জা ও দুঃখের। আমার বিষয়ে যদি কমিটি নতুন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে তাহলে আমি আত্মহত্যা করব।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও যাচাই-বাচাই কমিটির সদস্য সচিব এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, অর্থ লেনদেন বা বাণিজ্যের বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে যদি কেউ সুনির্দিষ্টভাবে আমার কাছে অভিযোগ দায়ের করে তাহলে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে। এ ছাড়া আমরা যাচাই-বাছাইয়ের যে তালিকা জামুকা বা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি তার বিষয়ে নতুন করে কোনো নির্দেশনা এলে আমরা সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সূত্র-পিপিবিডি.কম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়