মনির দেওয়ান: [২] জেলা থেকে উত্তোলনে অতিরিক্ত খরচ বহন করে টিসিবি'র ডিলাররা ন্যায্য মূল্যের কোন পন্যেই আনছেনা মেহেন্দিগঞ্জে। পন্য না আনার কারনে ভোক্তাধিকারে বঞ্চিত হচ্ছে ন্যায্য মূল্যের সাধারন ক্রেতারা।
[৩] ডিলাররা বলেন, প্রতি ডিউতে মোট ২ টন মাল পাচ্ছেন তারা। ওই ২ টনে নুন্যতম খরচ হচ্ছে ৬,০০০/- থেকে ৬,৫০০/- টাকা। ফলে বারতি খরচ বহন করেও পিয়াজে গুনতে হচ্ছে ভর্তুকি।
[৪] তারা আরো বলেন, প্রথমে বরিশাল গোডাউন থেকে লেবাররা ট্রাকে উত্তোলন বাবদ ৭০০/- টাকা, ট্রাক পরিবহন ১৫০০/- টাকা, ট্রলারে মাল উঠানো বাবদ লেবার ১৮০০/- টাকা, ঘাট খরচ ৫০০/- টাকা, ট্রলার ভাড়া মেহেন্দিগঞ্জে পৌছানো বাবদ ১৫০০/- টাকা, আবার ডিলারের ঘরে উঠানো বাবদ ৫০০/- টাকা।
[৫] উলেখ্য, ন্যায্য মূল্যের পণ্য জেলার নির্ধারিত মূল্য ও উপজেলায় অতিরিক্ত পরিবহন খরচ করেও একই মূল্য। পরিবহন ব্যায়ের কারনে মূল্য বৈষম্য ঠিক না থাকায় টিসিবি'র ডিলাররা কোন পন্যই নিচ্ছেনা মেহেন্দিগঞ্জে। এতে ন্যায্য মূল্যের পন্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভোক্তরা।
[৬] জেলা টি.সি.বি'র ৭টি ডিলার একমত প্রকাশ করে বলেন, জেলা থেকে আমাদের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার ধরা হলেও নদীর নাব্যতার কারনে দূরত্ব বেরেই চলেছে। (৭)সূর্য এন্টার প্রাইজ এর সত্বাধিকারী শামীম হায়দার বলেন, গত ট্রিপে আমার ও এইচ এন্ড নাথ এন্টারপ্রাইজ এর ন্যায্য মূল্য পন্যের ৩৬ হাজার টাকা লোকসান গুণতে হয়েছে।
[৭] এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে মুঠোফোনে বলেন, জেলার খাদ্য গোডাইন থেকে পরিবহন ব্যায় ধরা আছে, তবুও কোথাও বারতি খরচ বা পরিবহন চাঁদা ধরা হয়ে থাকলে আমি জেলা মাসিক সমম্বয় মিটিংএ বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :