ইসমাঈল ইমু: [২] নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল মিয়ার উপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ খানের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে। তিনি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর উন্নত চিকিৎসা নিতে ঢাকায় চলে এসেছেন। বর্তমানে এ নিয়ে স্থায়ীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
[৩] জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে শিবপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার শিবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম ফজলুর রহমান ফটিক মাষ্টারের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত হওয়ায় নিয়ে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মধ্যে টানাপেড়ন দেখা দেয়।
[৪] ওইদিন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুন অর রশিদ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক মহাসীনকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এর ধারাবাহিকতায় পরদিন দুপুরে শিবপুর কলেজ গেটের সামনে সোহেল রানার উপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ সভাপতির সমর্থকরা। এতে সোহেল রানা গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় আনা হয়েছে।
[৫] সোহেল মিয়া বলেন, এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তার খোঁজ খবর নেন। বিষয়টি মিমাংসারও আশ্বাস দেন। এ ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে দলীয় হাই কমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সোহেল রানা।
আপনার মতামত লিখুন :