পীর মিসবাহ এমপি: সব কিছুতে বিভেদ তৈরি নয়। আসুন জনগণের স্বার্থে ঐকমত্য হই।পাগলা-জগন্নাথপুর সড়কের নির্মানাধীন কুন্দানালা ব্রীজের গার্ডার ভেঙ্গে যাওয়ার ঘটনায় সবাই নিন্দা জানাচ্ছেন।কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সওজ এর দায়িত্বশীলরা দায় এড়াতে পারেন না।তদন্তে নিশ্চয় সব বের হয়ে আসবে।
আমার বিষয়টা ভিন্ন।সম্প্রতি একনেকে ঢাকা-সিলেট সড়ক ৪লেন অনুমোদন হয়েছে।অনুমোদনের বেশ কয়েক মাস আগে মাননীয় পররাস্ট্রমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের নিয়ে রাস্ট্রীয় অতিথি ভবনে মত বিনিময় করেছিলেন।সেখানে আমি সড়কটি সুনামগঞ্জ পর্যন্ত চার লেন করার জন্য দাবী জানিয়ছিলাম।পরবর্তীতে মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রীর কাছেও বিষয়টি উপস্থাপন করি।কিন্তু হয়নি।সুনামগঞ্জের মানুষের জন্য এটি হতাশার।এর আগে ঢাকা-সিলেট সড়ক প্রশস্ত হবার সময়ও সুনামগঞ্জ বঞ্চিত হয়েছে।এবার চার লেনেও সুনামগঞ্জ নাই।হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায় করে সিলেট পর্যন্ত চার লেন হবে। সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত ৬৭ কিলোমিটারের ব্যায় কোন সমস্যা হবার কথা নয়।সমস্যা হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি যুক্তিসঙ্গতভাবে উপস্থাপন করা।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জের উন্নয়নে আন্তরিক।ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুনামগঞ্জের মানুষকে অনেক বড় বড় প্রকল্প উপহার দিয়েছেন।
এবার যদি চার লেন সড়ক থেকে আমরা বঞ্চিত হই তবে আর কখনো সুনাসগঞ্জের মানুষের এই সুযোগ আসবে কি না জানিনা। আমি মনে করি এখনও সময় শেষ হয়ে যায়নি।আসুন একাত্ন হই।দাবী জানাই।ব্যাক্তি কেন্দ্রীক চিন্তা আমার কি লাভ? এর থেকে বের হতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতে হবে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত চার লেন সড়ক উপহার দেয়ার জন্য।তোষামোদি করতে গিয়ে পক্ষ -বিপক্ষ নয়।এলাকার উন্নয়নের দাবী করা উন্নয়নের বিরোধীতা নয়।
আসুন সুনামগঞ্জের পক্ষে কথা বলি।
লেখাটি লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া।
আপনার মতামত লিখুন :