সালেহ্ বিপ্লব, ইসমাঈল ইমু, আমীরুল ইসলাম: [২] গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ময়না তদন্ত হয়েছে। সেখানকার ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাফি মোহাইমেন জানান, বাইরে থেকে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
[৩] একই কথা বলেছেন মুশতাক আহমেদের কাজিন ডা. নাফিসুর রহমান, যিনি ময়না তদন্তের সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, ময়না তদন্তে দেখা গেছে, মুশতাক আহমেদের হার্টের আকার বেড়ে গিয়েছিলো।
[৪] হার্টের আকার বেড়ে যাওয়ার এই প্রাণঘাতী রোগের নাম কার্ডিওমেগালি। যে সব কারণে এই রোগ হয়, তার অন্যতম হচ্ছে হৃদরোগ। বন্ধুরা জানান, নিজের প্রতি ভীষণ রকম উদাসীন ছিলেন মুশতাক। ঠিকভাবে চিকিৎসা করাননি।
[৫] কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াসউদ্দিনও জানিয়েছেন, মুশতাক স্বাস্থ্যগত কোন সমস্যার কথা জানাননি। শুধু মাথাব্যাথা ও গ্যাসের ট্যাবলেট খেতেন।
[৬] মুশতাকের হৃদরোগের পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও ছিলো, জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু। কার্ডিওলজিস্ট ডা. তারিক জানান, এটি হৃদপিণ্ডের আকার বৃদ্ধির একটি লক্ষণ।
[৭] প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী জানালেন, কার্ডিওমেগালি হলে হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
[৮] হৃদরোগের সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করলেও আসল কারণটা কী জানা যাবে ভিসেরা রিপোর্টে।
[৯] ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা, সোহেল মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসেরা পরীক্ষা হবে সিআইডির ল্যাবে।
[১০] সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. নাজমুল জানান, ভিসেরা স্যাম্পল এখনও আমাদের কাছে আসেনি। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু
আপনার মতামত লিখুন :