এএইচ রাফি: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রাইভেটের নামে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যৌন হয়রানির ওই ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে।
[৩] উপজেলার সলিমগঞ্জ এ আর এম উচ্চ বিদ্যালয়ের শরির চর্চা বিভাগের শিক্ষক মো. আল-আমিন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে প্রতিকার চেয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন করে।
[৪] শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য তদন্ত কমিটি ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান সিনিয়র শিক্ষক আবুল হোসেন এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সেই সময়ে যে সকল ছাত্র/ছাত্রী প্রাইভেট পড়ছিল তাদের সাথে ও অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি এবং ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও চিত্র পর্যালোচনায় করেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
[৫] অভিযুক্ত শিক্ষক আল-আমিন ২০১৩ সালে এই স্কুলে শরির চর্চা শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পান। সেই থেকে বিভিন্ন বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াছিলেন। সম্প্রতি হাইস্কুল সংলগ্ন নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে দুইটি রুম ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো শুরু করেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী সকালে যথারীতি প্রাইভেট পড়ার সময় টেবিলের নিচ দিয়ে এক ছাত্রীর উরুতে স্পর্শ করে। ওই ছাত্রী বার বার হাত সরিয়ে দিলেও শিক্ষক একই কাজ করতে থাকে। সেই সময় এক শিক্ষার্থী বিষয়টি টের পেয়ে গোপনে টেবিলের নিচ দিয়ে দৃশ্যটি ভিডিও চিত্র ধারণ করে। ওই শিক্ষক প্রাইভেট পড়ানোর সময় তার পাশে কোন ছেলে ছাত্রকে বসতে দিতেন না, বরাবরই ছাত্রীদের তার পাশে বসিয়ে পড়াতেন। এরকম অন্য ছাত্রীদের সাথেও যৌন হয়রানী করেছে বলে শিক্ষার্থীরা জানায়।
[৬] এ ব্যাপার অভিযুক্ত শিক্ষক আল-আমীন বলেন, আসলে ভাই কি বলব, বলার ভাষা নেই, আমি মরনে মরে গেছি। ঘটনার সত্য মিথ্যা কিছুই বলব না, কমিটির কাছ থেকে আমি এক মাসের সময় নিয়েছি বুঝা পড়ার জন্য ।
[৭] এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহম্মদ আলী ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি নিয়ে সভা করি। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুল থেকে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে মর্মে একটি লিখিত আবেদন কমিটির সভাপতি বরাবরে দিয়ে এক মাসের সময় চান।
[৮] এ ব্যাপারে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, চাকুরী থেকে অব্যাহতি এটাও একটি শাস্তি। আসলে বিষয়টি স্কুলের মান সম্মানের দিক বিবেচনায় করে এটি করা হয়েছে। এরই মাঝে যদি সে চলে না যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[৯] এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবই ন্যাক্কারজনক ও নিন্দনীয়, স্কুল ব্যাবস্থাপনা কমিটি তাকে অব্যাহতি দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে বলে শুনেছি। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :