মনিরুল ইসলাম: [২] জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে মঙ্গলবার সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
[৩] সাক্ষাৎকালে তাঁরা করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশন, করোনাকালীন বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশের আইন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বর্তমান অবস্থা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
[৪] স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নরওয়ে বাংলাদেশের অনেক পুরনো বন্ধু এবং নরওয়ের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। এসময় ভবিষ্যতে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
[৫] স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বের কারণে করোনা সংকটের মধ্যেও সর্বস্তরের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র জনগণ যেন অনাহারে মৃত্যুবরণ না করে সেজন্য সঠিক সময়ে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করেছে সরকার। তাঁর সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে কোভিডকালীন সময়ে বাংলাদেশের জীবনযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্য বর্তমানে স্বাভাবিক গতিতে চলছে। করোনায় বাংলাদেশে মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম। বর্তমান সরকার সকলের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ।
[৬] রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন বলেন, কোভিডকালীন সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম প্রশংসার দাবি রাখে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের প্রশংসা করেন এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন।
[৭] ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, করোনাকালীন সময়ে সংসদ সদস্যগণ ও সংশ্লিষ্ট সকলের কোভিড পরীক্ষাপূর্বক সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে প্রয়োজনীয় আইনের সংশোধন হয়েছে। বাংলাদেশের এগিয়ে যাবার এসকল প্রচেষ্টায় নরওয়ে সরকার সর্বদা পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্পীকার।
[৮] এসময় সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :