মিনহাজুল আবেদীন: [২] সোমবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিবিসিকে বলেছেন, এই আইনে কোনও অপরাধের অভিযোগ এলে পুলিশের তদন্তের আগে কাউকে গ্রেপ্তার বা তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়া যাবে না, এমন ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
[৩] তিনি বলেন, সরাসরি মামলা নেয়া হবে না। কোনো অভিযোগ এলে পুলিশ প্রথমে তদন্ত করে দেখবে, তারপর তদন্ত সাপেক্ষে মামলা নেয়া হবে। সাজার ব্যাপারেও প্রিন্সিপাল আইন মেনে বিধান করা হচ্ছে। সব আইনই যখন করা হয়, তখন কিন্তু একটা ট্রায়াল এন্ড এরর বা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়। কথা হচ্ছে, এখানে যদি কিছু অ্যাবিউজ এবং মিসইউজ হয়, সেটা কি করে বন্ধ করা হবে- সে ব্যাপারে ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।
[৪] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শাহনাজ হুদা বলেছেন, ভিন্নমত যাতে না আসে, সেজন্য আইনটি করা হয়েছিলো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে একটা পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। যা মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছে।
[৫] আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আইনের অপব্যবহার হচ্ছে কিনা সেটা সরকার দলের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করছেন। তবে প্রযুক্তির এই সুবিধাটাকে কাজে লাগিয়ে অপব্যবহার এবং দেশের উন্নয়ন ও শান্তি বিঘ্নিত করা হচ্ছে কিনা, সেটিও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
[৬] বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মত প্রকাশ বা বাক স্বাধীনতা খর্ব করছে। এই আইনের কারণে গণমাধ্যমের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও একটা ভয় তৈরি হয়েছে। তবে সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আইনটি নিয়ে বিতর্ক বা সমালোচনার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তির ওপর দেশে ও বিদেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব