নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড বউ বাজারে পারভেজ হত্যাকান্ডের পর ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও আসামিরা এখনো আটক হয়নি। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত পাভেজের পিতা সদর উপজেলার বাহাদুরপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ বিশ্বাসের ছেলে তুতা বিশ্বাস হত্যাকান্ডের দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে আসামিরা হচ্ছে ঘোপ জেল রোড বউ বাজার এলাকার জলিল হাওলাদারের ছেলে নুর আলম (৩০) সাং- পিতা অজ্ঞাত নান্টু (২৮) ঘোপ জেল রোড ডিআইজি সড়কের পিতা অজ্ঞাত বদিন (২৮) একই এলাকার পিতা অজ্ঞাত জুলফি (৩১) ঘোপ জেল রোড বউ বাজার হলদি ওয়ালার বাড়ি পিতা অজ্ঞাত নজরুল (২০) ঘোপ জেল রোড বউ বাজারের মৃত জামালের ছেলে শফিকুল ইসলাম সোহাগ (৩৫) সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন। আসামিদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম সোহাগ ছাড়া এ মামলায় আর কোন এজাহার নামীয় আসামি আটক হয়নি।
নিহত পারভেজের পরিবারের দাবি, আসামি আটক না হওয়ায় পিছনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইদ্রিসুর রহমানে দায়িত্বহীনতা ও গাফিতলিকে দায়ি করা হয়েছে।
নিহত পারভেজের বোন শারমিন জানান, পারভেজ হত্যার পর তাদের বাড়িতে পুলিশ একদিন এসেছিলো। ঘোপ বউ বাজার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পারভেজ হত্যাকান্ডের পর আসামি আটকের জন্য এলাকায় পুলিশের তেমন কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই ইদ্রিসুর রহমান একদিন এসেছিলেন এ এলাকায়। তারপর তাকে আর দেখা যায়নি। অথচ আসামিরা রাতের আধারে বাড়িতে যেয়ে পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখছে।
এদিকে হত্যাকান্ডের পর ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও মামলার এজাহার নামীয় আসামি সোহাগ ছাড়া আর কেউ আটক হয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইদ্রিসুর রহমান জানান, সোহাগ ছাড়াও সন্দিগ্ধ হিসেবে সলেমান নামে একজনকে আটক করা হয়। আদালতে এ দুজনের রিমান্ড চাওয়া হলে সলেমানকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার (১ মার্চ) সলেমানকে আদালতে প্রেরন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :