মো.ইউসুফ মিয়া : [২] রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল কুশাহাটা মানুষের দুর্ভোগের কোনো শেষ নেই। দুর্ভোগ জেনো তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী।
[৩] ভোর হতে না হতেই কুশহাটা ভানুষের দুর্দশা, দূশ্চিন্তায় কাটে সারাটি দিন। শিক্ষা,বাসস্থান, খাদ্য,বস্ত্র, চিকিৎসা, বিনোদন সবকিছু থেকেই যেন তারা বঞ্চিত। তাদের হাতের কাছে নেইও কোন ভালো চিকিৎসা কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিনোদনের ব্যবস্থা সহ কোনো যোগাযোগের সু-ব্যবস্থা।
[৪] বছরের প্রায় সবটুকু সময়ই তারা থাকে বন্যার পানিতে আটকা। ফসল উৎপাদনের পান না তেমন কোনো সুযোগ সুবিধা। যতটুকু ফসল উৎপাদন করেন সুযোগ- সুবিধার অভাবে পান না তার সঠিক মূল্য।
[৫] গোয়ালন্দ উপজেলা থেকে কুশাহাটার দূরত্ব হবে প্রায় ১০-১২ কিঃ মিঃ এর মধ্যে নদী পথে যেতে হয় প্রায় ৪ কিঃ মিঃ এবং বাকি ৬ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে যেতে হয়। যাতায়াতের ভালো কোনো ব্যাবস্থা ও রাস্তা নেই।
[৬] বর্ষা চলে যাবার পর যতটুকু ফসল উৎপাদন করেন সেটা বাজারে এসে বিক্রি করার উপায় মাত্র নৌকা, ইঞ্জিন চালিত ট্রলার এবং ঘোড়ার গাড়ি। ঘোড়ার গাড়ি চলাচলের পথটা খুবই উচু-নিচু। একজন মুমূর্ষ রোগী কুশাহাটার চর থেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা খুবই কষ্টকর। পোহাতে হয় নানান দূর্ভোগ যন্ত্রনা।
[৭] চরের শিশুরা শিক্ষা, বিনোদনসহ নানান সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারচ্ছন্ন। তাছাড়া বয়স্ক নারীরা ভাতা,বিধবা ভাতা,মাতৃত্বকালীন ভাতা হতে সম্পর্ণ রুপে বঞ্চিত হচ্ছে। এ সব সুযোগ সুবিধা তো দূরের কথা অধিকাংশ বয়স্ক লোক ভাতা কি তা তারা এখনো পর্যন্ত জানেন না। দুঃখ-কষ্ট জেনো তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী।
[৮] এ অসহায়ত্ব জীবনযাপন থেকে পরিত্রান চান এই দূর্গম চরাঞ্চলবাসী। সরজমিনে কুশাহাটার চরে গিয়ে জানাযায় এসব দুংখ কষ্টের কথা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ