নাঈমুল ইসলাম খান: [২] কারাবন্দি মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং এতে কর্তৃপক্ষের দায়-দায়িত্ব নিরূপনে পূর্ণাঙ্গ ও সুষ্ঠু তদন্ত হতে হবে।
[৩] ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের যে কয়েকটি ধারা/উপধারা অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে সেগুলো অনতিবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
[৪] যারা ঢালাওভাবে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের দাবি করছেন, তারা ভুল করছেন। ডিজিটাল পৃথিবীতে ডিজিটাল অপরাধ ঠেকাতে এবং অপরাধীর সাজা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল ক্ষেত্রের জন্য আইন তৈরি ছিলো সময়ের দাবি।
[৫] ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অপব্যবহার করে প্রতিমাসে যদি ৫ জনের সাথে অন্যায় করা হয় তার বিপরীতে সেই একই সময়ে এই আইনের ভয়ে আরও অন্তত পাঁচশত শান্তিপ্রিয় সাধারণ নাগরিককে বিরক্ত কিংবা বিপদে ফেলার চেষ্টা থেকে অপরাধীরা নিবৃত্ত থাকছে।
[৬] কোনো আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ করার ইচ্ছায় তার সংশোধনী যদি এমন হয় যে, এই আইনকে দুর্বৃত্তরা ভয়ই পাবে না, তবে সেটা হবে সমাজের জন্য ক্ষতিকারক। সুতরাং সাধু সাবধান।
[৭] পৃথিবীর দেশে দেশে আইনের দুর্বলতা প্রকাশ্য হলে সামাজিক চাপ দিয়ে তার সংশোধন ও পরিমার্জন করতে সিভিল সোসাইটি, রাজনৈতিক দল ও মিডিয়াকে ভূমিকা রাখতে হবে। শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে।
[৮] বাংলাদেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সক্ষমতা বাড়ানোও এক্ষেত্রে খুবই প্রাসঙ্গিক এবং জরুরি কর্তব্য । এই কাজটা অতো সহজ নয়। (ঈষৎ বর্ধিত)
অনুলেখক: ফাহমিদা তিশা
আপনার মতামত লিখুন :