ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : [২] পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার প্রায় দেড় হাজার সেচ গ্রাহক।
[৩] একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অফিসের অব্যবস্থাপনার কারণে সৃষ্ট অতিরিক্ত সিস্টেম লস পুষিয়ে নেয়া ও দুর্বলতা গোপন রেখে আরইবিকে (বাংলাদেশ রুরাল ইলেক্ট্রিফিকেশন বোর্ড) খুশি করতেই বারবার গ্রাহকদের উপর ভূতুড়ে বিলের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
[৪] পল্লী বিদ্যুতের সাবেক এক এলাকা পরিচালক জানান, সেবা গ্রহণের পরিবর্তে ভোগান্তি নিরসন করতেই গ্রাহকরা এখন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ভীড় করেন। জানুয়ারি মাসে তার নিজের সেচের মিটারের বিল সিটে অতিরিক্ত প্রায় ৬ হাজার ইউনিট যোগ করে ২২ হাজার ৯৩৫ টাকার বিল করা হয়েছে, যা ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে শত গুণ বেশি।
[৫] গত বৃহস্পতিবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আগত ভুক্তভোগী সেচ গ্রাহকদের বিল সিট যাচাই করে দু’শ থেকে হাজার ইউনিট অতিরিক্ত যোগ করে ভূতুড়ে বিল প্রস্তুত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
[৬] বাগভান্ডার এলাকার ভুক্তভোগী গ্রাহক আমির হোসেন জানান, ‘বিল সংশোধনের জন্য কাজ কর্ম ফেলে ঘণ্টা পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এটা নতুন কিছু না। ভূতুড়ে বিল তৈরি করা পল্লী বিদ্যুতের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।’
[৭] দক্ষিণ ছাট গোপালপুরের কৃষক সাইফুর রহমান, বাগভান্ডারের আমজাদ হোসেন, মইদামের মহির উদ্দিন, খামার বেলদহের শাহাআলম, আন্ধারীঝাড়ের জাহাঙ্গীর আলম সহ অনেক সেচ গ্রাহককে ভূতুড়ে বিলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
[৮] ভূরুঙ্গামারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম কাওসার আলী জানান, ‘সিস্টেম লসের সাথে অতিরিক্ত বিলের কোনও সম্পর্ক নেই। এগুলো অনাকাঙ্খিত ভুল। বিল রিডারদের ভুলেও এমনটা হতে পারে। তবে গ্রাহকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভুল সংশোধন করে দেওয়া হচ্ছে।’
[৯] বিল রিডিং-এর সাথে সম্পৃক্তরা জানান, ভুল রিডিং জমা দেয়ার সুযোগ নেই। তবে অনিচ্ছাকৃত দু’চারটা ত্রুটি হতে পারে।
[১০] কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম স্বদেশ কুমার জানান, অতিরিক্ত বিল নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :