শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:১১ দুপুর
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:১১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভুল স্বীকার বাফেটের, ক্ষতি ১১ বিলিয়ন ডলার

রাশিদ রিয়াজ : মার্কিন শীর্ষ উদ্যোক্তা ওয়ারেন বাফেটের ভুলের কারণে তার কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে ১১ বিলিয়ন ডলার লোকসান দিয়েছে। ১৯৬৫ সাল থেকে কোম্পানির অংশীদারদের কাছে বাফেট লাভ-লোকসানের কারণ ব্যাখ্যা করে আসছেন। এবারও তিনি লোকসানের জন্যে নিজেই দায়ী বলে ভুল স্বীকারে কুণ্ঠা বোধ করেননি। ব্লুমবার্গ বিলিওনারি সূচকে তার অবস্থান সপ্তম এবং বিশে^র অন্যতম সেরা ধনী তিনি। বার্কশায়ারের সিইও ও ৯০ বছরের এই উদ্যোক্তা তার কোম্পানির অংশীদারদের কাছে দেওয়া বার্ষিক বক্তব্যে বলেন, অরেগনে প্রিসিসন কাস্টপার্টসের শেয়ার মূল্য হিসেবে ৩৭ বিলিয়ন ডলার বেশি দিয়ে দেওয়ায় তার এ ক্ষতি হয়েছে। ওই কোম্পানি এ্যারোস্পেস শিল্পের জন্যে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরি করে। বাফেট বলেন, অতিরিক্ত আশাবাদী হয়েই তিনি মনে করেছিলেন প্রিসিসন কাস্টপার্টস অনেক মুনাফা করবেন। উদ্যোক্তা হিসেবে চাপে থাকার কারণে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করার পর তা পুরো এভিয়েশন শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলেও স্বীকার করেন বাফেট। তারপরও প্রিসিসন কাস্টপার্টস বাজার পরিস্থিতির তুলনায় ভাল ব্যবসা করেছে। এখনো বিশ^াস করি প্রিসিসন কাস্টপার্টস আরো ভাল ব্যবসা করবে। গত বছর প্রিসিসন কাস্টপার্টস আয় করেছে সাড়ে ৪২ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া এ্যাপেলে সফলজনকভাবে বিনিয়োগে করেছে কোম্পানিটি।

বাফেটের সম্পদের পরিমান ৯২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের ডজনেরও বেশি কোম্পানি রয়েছে। এসব কোম্পানির শীর্ষে রয়েছে ব্যাংক ও যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা। বাফেট অংশীদারদের কাছে দেওয়া বক্তব্যে বলেন মার্কিনীদের ওপর ভরসা বা বাজী রাখতে হয় কারণ যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে এমন এক আঁতুর ঘর যেখান থেকে মানুষের মেধা সম্ভাবনাময় হয়ে ওঠে। এজন্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাজী ধরতে নেই। কিছু গুরুতর বাধা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতি শ্বাসরুদ্ধকর।

বাফেটের সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে তার কোম্পানিগুলো গত ত্রৈমাসিকে ২৩ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে আর্থিক মূল্যে যা ৩৫.৪ বিলিয়ন ডলার। বাফেট মধ্য আমেরিকা উপকূলীয় এলাকায় গড়ে ওঠা ফিন্যান্স, মিডিয়া ও প্রযুক্তি শিল্পখাতগুলোতে বিনিয়োগের প্রশংসা করেন। বাফেট বলেন ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার বিনিয়োগে ন্যাশনাল ইনডেমনিটি নামে যে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি যাত্রা শুরু করেছিল তাকে প্রতিদ্বন্দ্বি কোম্পানিগুলো গুরুত্ব না দিলেও তা এখন বড় এক কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এটি বিশে^র একমাত্র কোম্পানি যা সবচেয়ে বড় বড় ঝুঁকি মোকাবেলা করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়