হাদিউল হৃদয়: [২] সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর দু পক্ষের মধ্যে প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষে গুরুতর ১০ জনসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

[৩] রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের দিঘীসগুনা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

[৪] আহতরা হলেন, দিঘী সগুনা গ্রামের মৃত আফাজের ছেলে গাজী আফছার (৫৫), জুব্বার হাদীর ছেলে ফিরোজ (৪০), খয়বার আলীর ছেলে ইমরান (২১), মৃত হবর আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৫০), আ: জব্বার ছেলে ফারুক (৩৫), মৃত হরফ আলী মন্ডলের ছেলে জুব্বার (৫৫), মৃত মফিজ’র ছেলে আলহাজ আ: হালিম (৩০), আনোয়ার হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গী (৪০), আজাহার ছেলে আরশাফুল (২৫), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে বাবলু (৫০)।

[৫] পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দিঘীসগুনা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ইদ্রিস ও আফসার গ্রুপের মধ্যে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী দ্বন্দ চলে আসছিল। এর আগেও তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই জেরে রবিবার সকালে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

[৬] এক পর্যায়ে বিষয়টি গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে প্রায় শতাধিক গ্রামবাসী দু'দলে বিভক্ত হয়ে লাঠি, সোটা, রাম দা, হাসুয়া, লোহার রডসহ দেশীয়ও অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ১০ থেকে ১৫ টি দোকান ঘর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে উভয় পক্ষের গুরুতর ১০ জনসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।

[৭] তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ফজলে আশিক বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী