আব্দুম মুনিব : শুষ্ক মৌসুমে আগে যেখানে পানি থাকতো না পরিকল্পিত খননে বদলে গেছে কুষ্টিয়ার গড়াই নদী, বেড়েছে পানি প্রবাহ।
একদিকে মিঠা পানির প্রবাহ যেমনি বেড়েছে তেমনি কমেছে নোনা পানির আগ্রাসন। বিগত দিনে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরিকল্পিত খনন কাজের ফলে গড়াই খনন ভেস্তে বসেছিল।
তবে পরপর দুই বছর খননে গতি আসার পাশাপাশি ড্রেজার মেশিন বাড়ানো ও আগের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে নতুন পরিকল্পনা নেওয়ায় বদলে গেছে নদীর খনন কাজ ও দৃশ্য। এতে করে নদীর এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন এসেছে। সম্প্রতি গড়াই নদী খনন কাজ পরিদর্শনে এসে সন্তোষ প্রকাশ করেন পানিসম্পদ মন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে গড়াই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর ও মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা থেকে গড়াই উৎস মুখ শুরু হয়েছে।
নদীটি কুষ্টিয়া ছাড়াও মাগুরা, রাজবাড়ি, ঝিনাইদহ, ফরিদপুর হয়ে যশোর ও খুলনা হয়ে সুন্দরবনে গিয়ে মিশেছে। সুন্দরবন ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে নোনা পানির আগ্রাসন রুখতে বড় ভূমিকা রাখে গড়াইয়ের মিঠা পানি।
বর্তমানে ৭টি ড্রেজার দিয়ে নদীর কয়েকটি পয়েন্টে খনন কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। উৎস মুখ তালবাড়িয়া থেকে শুরু হয়ে এ বছর কুমারখালী উপজেলা পর্যন্ত মোট ২০ কিলোমিটার খনন কাজ পরিচালিত হবে দেশীয় অর্থায়নে। এ জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। খননের ফলে শুষ্ক মৌসুমে সার্বিক পানি প্রবাহের যে ধারা সেটি বিগত দুই বছরে অনেকটা বেড়েছে।
গড়াই খনন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী তাজমীর হোসেন বলেন, অতীতে নানা প্রশ্ন থেকে গত দুই বছর আমরা খননের কাজে পরিবর্তন এনেছি। এতে করে পানি প্রবাহ বেড়েছে, কমেছে নোনা পানির আগ্রাসন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :