আফরোজা সরকার: [২] জেলার বদরগঞ্জে সুলতানা আক্তার মেরি(২৪) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মেরি ওয়ারেছিয়া ইসলামী ফাজিল মাদ্রাসার ফাজিল এর শিক্ষার্থী। তার বাবা-মাও. মেনহাজুল ইসলাম স্থানীয় দাখিল মাদ্রাসার সুপার। তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বুজরুক হাজীপুর এলাকার গয়দাপাড়ায়।
[৩] গত শুক্রবার(২৬ফেব্রুয়ারি) রাতে সিআইডি কর্মকর্তারা ক্রাইম সিন সংগ্রহ করলে মেরির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলার এএসপি সার্কেল(বি) শিফাত ই রাব্বানা।
[৪] এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবা মাও. মেনহাজুল ইসলাম ও মা নূরনাহার বেগমকে আটক করে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে মেরির জ্যেঠা সেরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করলে ওই মামলায় মা নূর নাহারকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান।
[৫] মামলায় বলা হয়েছে, মেরি দীর্ঘদিন ধরে মৃগী রোগে ভুগছিল। একারণে পুরো পরিবারকে সব সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ থেকে মুক্তি পেতে মা নূর নাহার মেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওইদিন দুপুরে মেরিকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এরপর বিকেলে সেটিকে আত্মহত্যা বলে এলাকায় প্রচার করা হয়। মামলায় আরো বলা হয়েছে ওই হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তির সহযোগিতা নেয়া হতে পারে।
[৬] এদিকে এলাকা ঘুরে জানা গেছে, পরিবারটি অতিমাত্রায় ধর্ম পরায়ণ হওয়ায় ওই বাড়িতে প্রতিবেশীরা যাতায়াতের সুযোগ পেতেন না।
[৭] তবে মা নূরনাহার বেগম বলেন, বিকেলে চিৎকার শুনে মেয়ের ঘরে গিয়ে দেখি গলার কাটা অংশ থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরুচ্ছে।
[৮] মায়ের দাবি রোগ যন্ত্রণা সইতে না পেরে মেয়ে নিজের গলা নিজেই কেটে আত্মহত্যা করেছে।
[৯] শনিবার সকালে এবিষয়ে জানতে চাইলে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, মামলা হওয়ায় মেরির মাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া বাবা মেনহাজুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :