মিলটন খন্দকার: [২] অটোচালক রুবেল হোসেনকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুর এলাকায় খুন করেছে আবু জাফর উরফে আকাশ ও সহযোগী অপর বন্ধু। পরে কাশিপুরের সারদাগঞ্জ পশ্চিমপাড়া কবরস্থানের পতিত জমি থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় স্থানীয় উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভির জমায়। প্রধান হত্যাকারী আবু জাফর উরফে আকাশও লাশ দেখতে যায়। স্থানীয়দের সাথে সেও সমবেদনা প্রকাশ করে এবং হত্যাকন্ড থেকে নিজেকে আঁড়াল করার জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশের কাছা-কাছি দাঁড়িয়ে থাকে।
[৩] শনিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এক প্রেস ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) জাকির হাসান।
[৪] তিনি বলেন, গত শুক্রবার সকালে মহানগরের কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ হাজী মার্কেট পশ্চিমপাড়া কবরস্থানের পতিত জমি থেকে অজ্ঞাতনামা রুবেলে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উক্ত ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশের দুটি দল কাশিমপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার রাতেই নিহত রুবেলের তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
[৫] গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার বড়তিনকুল গ্রামের মো: ফরিদুল ইসলামের ছেলে আবু জাফর ওরফে আকাশ (২০), জামালপুরের মেলান্দহ থানার হরিনাপাই গ্রামের আশরাফ মিয়ার ছেলে ফরহাদ হোসেন (২১), বগুড়া সদর থানার মালগ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২০) এবং অটোবাইকের ব্যাটারি ক্রেতা বি-বাড়ীয়া জেলার নবীনগর থানার টিয়ারা গ্রামের আ: রহিমের ছেলে রাশেদ আহামেদ (৪০)। নিহত রুবেল হোসেন (১৮) নওগার রাণীনগর থানার দেবরাগারি গ্রামের সিরাজুল হোসেনের ছেলে। সে একজন কলেজ ছাত্র ছিলো। করোনা সংকটরে কারণে কাশিমপুর এলাকায় সে অটোবাইক চালতো। নিহত রুবেল এবং হত্যাকারী তার বন্ধুরা সবাই কাশিমপুরের সারদাগঞ্জ এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা। পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকটিু উদ্ধার করেছে।
[৬] তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায় প্রধান আসামি আকাশের স্ত্রীকে রুবেল বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতো। এ ঘটনার জেরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রুবেলকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নারীর প্রলোভন দেখিয়ে উল্লিখিত স্থানে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে লাশ ফেলে অটোবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তারা অটোবাইক ও ব্যাটারি পৃথক স্থানে বিক্রি করে।
[৭] প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার থোয়াই অংপ্রু মারমা ও কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবে খোদা প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :