শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৮:২৭ সকাল
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৮:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বাঘারপাড়ার বিধবা ফিরোজার সংগ্রামী জীবন

আজিজুল ইসলাম: [২] “স্বপ্ন ছিলো স্বামী সন্তান নিয়ে একটু ভালো ঘরে থাকার। ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষিত করার। ২০০১ সালে এ বাড়িতে বউ হয়ে আসে ফিরোজা বেগমন। আসি। বাসর ঘর থেকেই রাতের আকাশের ‘তাঁরা’ দেখতে পেয়েছি। ঝড়-বৃষ্টিতে কাঁথা-বালিশ বুকের মধ্যে নিয়ে সারা রাত কাটিয়ে দিয়েছি কিন্তু সন্তানরা যেনো সেই কষ্ট না করে তার জন্য তখন থেকেই সংকল্প করি একটা ভালো ঘর তৈরি করতেই হবে।

[৩] ফিরোজা বেগম বলেন, সন্তানদের লেখাপড়া শেখাতে হবে। ‘কর্মঠ স্বামী’ ছিলো আমার একমাত্র সম্পদ। তখন থেকেই দু’জনে শুরু করি দিন মজুরের কাজ। ছেলে মেহদী দশম শ্রেণীতে পড়ে ও মেয়ে মাহমুদার বয়স এখন দুই বছর। ভালোই চলছিলো আমাদের সংসার। ২০১৯ সালে জমানো টাকা দিয়ে তিন রুম বিশিষ্ট ঘরের কাজ শুরু করি। ঘরের দেওয়াল পর্যন্ত শেষ করতে পেরেছি। হঠাৎ সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো। স্বামীর কন্ঠনালীতে ধরা পড়ে ক্যন্সার। জমানো সঞ্চয় আর ধার-দেনা করে তার চিকিৎসায় সবই শেষ করেও বাঁচাতে পারলাম না। রোগ নির্ণয়ের গত তিন মাস আগে চলে গেলেন না ফেরার দেশে”। এ সময় তাঁর দুগাল বেয়ে বয়ে যায় চোখের নোনা জল।

[৪] ভেজা চোখে তিনি আরও বলেন,“এখন ছেলে-মেয়ে নিয়ে পিতার বাড়িতে রাত কাটাতে হচ্ছে। পিতাও দিন মজুর অসহায় বৃদ্ধা। সন্তানদের লেখা-পড়াও অনিশ্চিত”। ফিরোজা বেগম যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া গ্রামের মৃত ওবায়দুলের স্ত্রী।

[৫] পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এ গ্রামের শামছের বিশ্বাসের ছয় সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় ছিল ওবায়দুল। পেশায় সে একজন বর্গা চাষী ও দিনমজুর ছিল। ওবায়দুলের সম্পদ বলতে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বসত বাড়ির তিন শতাংশ জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। তাই পরিবারকে সুখে রাখতে শুরু করেন কঠোর পরিশ্রম। পরিশ্রমী এই ওবায়দুল সকালে কৃষি কাজ, দুপুরে বেকারীর পণ্য বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করে । আবার বিকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত বর্গা জমিতে কাজ করতেন। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়