শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৪:৪০ সকাল
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৪:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] আদমদীঘিতে প্রথম ড্রাগন ফল চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষক চাঁন মিয়া

আমিনুল জুয়েল:[২] ব্যণিজ্যিকভাবে এই প্রথম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ শুরু হয়েছে। এতে উপজেলার কন্দুগ্রাম ইউনিয়নের কড়ই গ্রামের আহম্মাদ আলীর ছেলে কৃষক চাঁন মিয়া আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। মাত্র ১০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করে গত বছরে ১ লক্ষ টাকা আয় করেছেন তিনি।

[৩] অল্প খরচ, কম পরিশ্রম আর লাভজনক হওয়ায় অন্যের জমি বন্ধক (লিজ) নিয়ে এ বছর তিনি যৌথভাবে ১১ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করছেন। ড্রাগন চাষে নিজে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নিজ উপজেলায় এই ফল চাষে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা উৎসুক জনতা, ফলপ্রেমী ও সৌখিন ড্রাগন চাষীদের জন্য তিনি ফল ও চারা সরবরাহ করছেন।

[৪] চাঁন মিয়া জানান, ড্রাগন বিদেশি ফল হলেও এর রোগ-বালাই খুবই কম। কান্ড থেকে চারা গজে উঠে বলে চারা নিয়ে আলাদা দুঃশ্চিন্তা করতে হয় না। জমিতে সবসময় সেচ দিতে হয়। ১৫-২০ দিনের মধ্যে মাটি আলগা করে দিলে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই গাছের রোগ-বালাই তেমন নেই বললেই চলে। সেজন্য কীটনাশক ছিঁটানোর প্রয়োজন হয় না। তবে ঘড়োয়া পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত জৈব সার প্রয়োগ করলে গাছ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠে।

[৫] ফেব্রুয়ারীর শেষের দিকে গাছে ফুল আসতে শুরু করে। শীত মৌসুমে প্রায় চার মাস ছাড়া বছরের বাকি ৮ মাস এর ফলন অব্যাহত থাকে। ১৫ দিন পরপর ফল তোলা যায়। প্রতিটি ফলের ওজন ২০০-২৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। বাজারে চাহিদা থাকায় সাড়ে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকায় বিক্রি হয় এই বিদেশি ফল।

[৬] তিনি বলেন, বাড়ির কাছেই ১৫ শতকের জমিতে কোন আবাদ করাই সম্ভব হতো না। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল ফসল নষ্ট করতো। কিন্তু ড্রাগন ফল চাষের পর গরু-ছাগলের উৎপাত কমে গেছে। ড্রাগন গাছে কাটা থাকায় কোন পশু এদের কাছে আসে না। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন

 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়