আতাউর অপু: [২] ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো।
[৩] শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ‘লেখক মুশতাক আহমেদ-এর হত্যাকারী রাষ্ট্র’ ব্যানারে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে একটি মিছিল শাহবাগ ঘুরে ফের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়।
[৪] বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির বলেন, ‘রাষ্ট্রই এই লেখককে হত্যা করেছে। তার অপরাধ কি ছিল? তিনি ফেসবুকে লেখালেখি করতেন। তিনি লেখার মাধ্যমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। দশ মাস ধরে তাকে জামিন দেয়া হয়নি। আমরা দেখছি, পুরো দেশের মানুষ কেমন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। পুলিশ একজন কৃষককে গলায় পা দিয়ে হত্যা করেছে।’
[৫] তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, এই রাষ্ট্রের জেলখানার ভেতরে কি বাইরে পুরো দেশটাকেই জেলখানায় পরিণত করা হয়েছে। লেখক মুশতাকের লাশের ওপর হাত রেখে শপথ করে বলতে চাই- এই সমস্ত হত্যাকাণ্ডের জন্য ফ্যাসিবাদী সরকার দায়ী। এদেশের মানুষ পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে লেখক মুশতাকের বলিদানকে অম্লান করে রাখবে।’
[৬] বিক্ষোভ মিছিল শেষে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে লেখক মুশতাকের হত্যার বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেয়া হয়।
[৭] বিক্ষোভে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (একাংশ) কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানা, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনউদ্দীন, সাবেক ছাত্রনেতা লিটন নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :