শরীফ শাওন: [৩] পাকিস্তান হাই কমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইল ও তৈরিপোশাক খাতে পাকিস্তানি কাঁচামাল ব্যবহার করে ফিনিশড প্রোডাক্ট তৈরির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।
[৪] ইমরান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ মধ্য এশিয়াসহ পাকিস্তান থেকে প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। এক্ষেত্রে চায়না-পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোর (সিপিইসি) ব্যবহার করে সমুদ্রপথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালনা করা হলে তা সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী হবে।
[৫] তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্ভাবনাময় হলেও আশানুরূপ নয়। উভয় পক্ষ যাতে সমানভাবে উপকৃত হয় সেই লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে হবে। পাকিস্তানে বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশে পাকিস্তানি পণ্যের একক প্রদর্শনী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়, পর্যটন প্রসারে ট্যুর প্রোগ্রাম আয়োজন এবং সংশ্লিষ্ট ভিসা সহজীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
[৬] চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির তুলনায় আমদানি অনেক বেশি। পাকিস্তানে গড় ট্যারিফ বাংলাদেশ থেকে কম হলেও উচ্চ শুল্কের কারণে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কোটা ও সংখ্যার সীমাবদ্ধতা, স্বাস্থ্য ও মানগত বাধ্যবাধকতা আমদানির অন্যতম বাধা।
[৭] বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূরীকরণ, রুলস অব অরিজিন সহজীকরণ, সমুদ্র পথে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে করাচি বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন, সরাসরি ঢাকা-করাচি বিমান যোগাযোগ পুন:স্থাপন করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :