সুজিৎ নন্দী: [২] শীত কমার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে মশার উপদ্রব অতিমাত্রায় বেড়েছে। এখনই মশা দমনে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আবারও অতীতের চেয়ে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র জানান, মশার উপদ্রব কিছুটা বেড়েছে। তবে খুর শিঘ্রই নিয়ন্ত্রনের মধ্যে চলে আসবে।
[৩] অনদিকে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে মশার উৎপাতে থাকা যাচ্ছে না। বিমানবন্দর এলাকায় দেখা যায়, বিকাল হলেই মশা হাত দিয়ে সরিয়ে রাস্তায় হাঁটতে হচ্ছে। এমন মারাত্মক অবস্থা আগে কখনো দেখিনি। ধানমন্ডি এলাকার বান্দিাররা জানান, বাসাবাড়ি, দোকানপাট, অফিস-আদালত সর্বত্রই মশার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।
[৪] ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, নিধনকর্মী, ওয়ার্ড সচিব, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, কাউন্সিলর- সবাইকে জবাদিহি করতে হবে। মার্চ মাস শুরুতেই মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে চাই।
[৫] ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসেও রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপস্থিতি রয়েছে। এখন উপস্থিতি কম থাকলেও তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মার্চ-এপ্রিলের দিকে এর আরো প্রকোপ বাড়বে। তাই বৃষ্টি হওয়ার আগে আগেই মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার উদ্যোগ নিতে হবে।
[৬] মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সম্ভাব্য সব কাজ শুরু করেছি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মশার উপদ্রব কমাতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিযান চালাবে। শিঘ্রই দোকান-স্থাপনা-বাসা-বাড়িতে-স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়া যাবে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল-জরিমানা করা হবে।
[৭] এডিস মশার পাশাপাশি ইদানীং কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়েছে। কার্যকর পূর্ব প্রস্তুতি না নিতে পারলে আগামীতে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে। সেজন্য মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।
[৮] যদিও এডিস ও কিউলেক্স মশা নিধনের পদ্ধতি ভিন্ন ধরনের। তবে আগামী দুই মাসের মধ্যে দুই সিটি করপোরেশন এক্ষেত্রে টেকসই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। নইলে আসছে মৌসুমে নগরবাসীর কপালে দুর্ভোগ আছে।