ইমরুল শাহেদ: ধারণা করা হচ্ছে কোভিড-১৯ থাকলেও আগামী ঈদুল ফিতর থেকেই বিনোদন পিয়াসী দর্শক ব্যাপক সমাগম হবে সিনেমা হলে। এ সময়ে একাধিক বিগ বাজেটের চলচ্চিত্র মুক্তি পাবে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশের মনসুন ফিল্মস ও ইরানের ইমেইজ সিনেমা ইন্ডাষ্ট্রির যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘দিন দ্যা ডে’ ছবির মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন মুনসুন ফিল্মসের কর্ণধার ও অভিনেতা অনন্ত জলিল।
এই উপলক্ষে তিনি স্থানীয় একটি বিলাস বহুল হোটেলে আগামী ২৭ ফেব্রæয়ারি একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছেন। দিন দ্যা ডে ছবিটি মনসুন কথাচিত্রের হলেও বলা হচ্ছে ‘একটি অনন্ত জলিল চলচ্চিত্র।’ এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন ইরানের মুর্তেজা আতাশজমজম ও তুরস্ক-ভারত ভিত্তিক নির্মাতা উপেন্দ্র মাধব। জানা গেছে, ছবিটির নির্মাণশৈলী প্রযুক্তির কারসাজিতে ভরপুর। ইরানে নির্মিত হয় বিশ্বমানের চলচ্চিত্র। এছাড়া সতুরস্ক এখন টিভি প্রোডাকশন দিয়েই বিশ্বের বিনোদন বাজার মাতিয়ে রেখেছে।
অ্যাকশন নায়ক হিসেবে অনন্ত জলিলের একটা সুনাম আছে। এ ছবিতে সেটা আরো বেগবান হয়েছে বলে প্রদর্শক মহল সূত্রে জানা গেছে। অনন্ত জলিলের সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘মোস্টওয়েলকাম ২’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৪ সালের ঈদুল ফিতরে। এর মাঝে গত ছয় বছর তার কোনো চলচ্চিত্র মুক্তি পায়নি। তবে চলতি বছরের ঈদুল ফিতরে আবারও বড় পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন এই অভিনেতা। এই ছবিটিতে আন্তর্জাতিক সংস্থার পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখা যাবে অনন্ত জলিলকে। নানারকম ভুল মতবাদে আসক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়বেন তিনি। পাশাপাশি ইসলাম ধর্মের সঠিক ও সুন্দর বার্তা তুলে ধরা হয়েছে বলেও জানা যায়।
বাংলাদেশ ও ইরানে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে। এই ছবিটিতে কাজ করেছেন তুরস্ক, ইরান ও বাংলাদেশের শিল্পীরা। পোশাক-আশাকে অনন্ত জলিলকে কোনো কোনো দৃশ্যে জেমস বন্ডের মতো করে সজ্জিত করা হয়েছে। এ ছবিতে অনন্ত জলিলের বিপরীতে রয়েছেন বর্ষা। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে এ ছবিটিতে রয়েছেন ইলয়াস কাঞ্চন, কাজী হায়াৎ ও মাহমুদ সাজ্জাদ। ২০১০ সালে নিজের প্রযোজিত ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে নায়ক হিসেবে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে অনন্ত জলিলের। এরপর ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’, ‘দ্য স্পিড’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’ ও ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ সিনেমায় দেখা যায় অনন্ত-বর্ষাকে।
আপনার মতামত লিখুন :