লিহান লিমা: [২] সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ড মার্কিন তদন্ত কমিটির প্রকাশিতব্য প্রতিবেদন ন্যায়বিচারের জন্য এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের একজন শীর্ষ বিশেষজ্ঞ। আল জাজিরা/রয়টার্স/গার্ডিয়ান
[৩]বিচারবর্হিভূত কর্মকাণ্ড ও গণহারে ধর-পাকড় বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টার অ্যাগনেস কালামার্ড বলেন ‘অফিস অব দ্য ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইনটিলিজেন্স’ (ডিএনআই) ২০১৮ সালের অক্টোবরের ওই নৃশংস হত্যকাণ্ডের পেছনে তার দায়ভার ছিলো তা সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করবে। জবাবদিহিতা স্বার্থে এবং আমেরিকার গণতন্ত্রের স্বার্থে ডিএআইএর প্রতিবেদন অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে।’
[৪]তিনি আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যেই অনেক তথ্যাদি হাতে রয়েছে আমরা যখন ডিএনআই এর মতো একটি সংস্থার তথ্য-প্রমাণ হাতে হবে তখন বাকি বিশ্বের কাছে এ রকম একটি ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব হবে।’
[৫]মার্কিন নাগরিক ও সৌদি বংশোদ্ভুত খাসোগজি ছিলেন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানসহ সৌদি রাজপরিবারের একজন সমালোচক। বিয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আনতে গিয়ে ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে হত্যার শিকার হন তিনি। তার হত্যাকান্ড বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃৃষ্টি করে। মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো, জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ এবং তদন্ত কর্মকর্তারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দায়বদ্ধতার আওতায় আনার দাবী জানান। এই হত্যার নির্দেশ সৌদি যুবরাজ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তবে সৌদি আরব এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
[৬]হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পাসাকি বুধবার সাংবাদিকদের জানান, বাইডেন প্রশাসন শীঘ্রই ডিএনআই প্রতিবেদন প্রকাশে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। তবে এই প্রতিবেদন কখন প্রকাশ করা হবে তার সময় জানান নি পাসাকি।
[৭] মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি ইতোমধ্যে এই প্রতিবেদন পড়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন।
আপনার মতামত লিখুন :