শেখ সাইফুল:[২] বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় আশির দশক থেকেই পানি ও মাটিতে লবণাক্ততার তীব্রতা বাড়তে থাকে। এ কারণে ধানের উৎপাদন কমতে থাকে। জমির মালিকরা ঝুঁকে পড়েন চিংড়ি, বিশেষ করে, বাগদা চাষে। শুরুতে চিংড়ি চাষে লাভবান হলেও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে চিংড়ির উৎপাদন।
[৩] ঘেরের ভেড়িতে করলা চাষ অত্যান্ত জনপ্রিয় । এই সবজি প্রায় প্রতিটি কৃষক আবাদ করে থাকে। বাণিজ্যিক ভাবে ঘেরের ভেড়িতে করলা আবাদ করে অনেক কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক পরিমান লাভজনক হওয়ায় করলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষীরা।
[৪]এখন চিংড়িঘের গুলোতে মাছ নেই, নেই ধানের উৎপাদনও। তাই এ অবস্থায় বিকল্প পেশা ও কর্মসংস্থানের উপায় খুঁজতে চিংড়ি ঘেরের ভেড়ি ও পতিত জমিতে মৌসুমি সবজি চাষে আশার আলো দেখছেন অনেকে। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি করলা বিক্রি করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করছেন চাষিরা। জমিতে ধানও নেই, মাছও নেই– তাই বিকল্প কর্মসংস্থান এবং পেশায় আগ্রহ তাদের।
[৫] এদিকে করলা চাষের এ বিকল্প পেশায় ভাগ্য বদলাতে শুরু করেছে অনেকের। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়াসহ ফিরেছে সচ্ছলতাও।মোরেলগঞ্জে উপজেলার গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, ঘেরের ভেড়িতে মাচা করে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করছেন তিনি। পানির ওপর মাচা করে তাতে করলা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বরবটিও শিম এবং ভেড়িতে ঢেঁড়স, কলা ও পেঁপে চাষ করেন এই কৃষক। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :