রাশিদ রিয়াজ : ইরানের গভর্নর আব্দোলনাসের হেমায়েতি এ তথ্য দিয়ে বার্তা সংস্থা মেহরকে বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ইরানি সম্পদ অবমুক্ত করার ব্যাপারে যে আলোচনা চলছে তারই প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিউল। কিছুদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বাণিজ্যিক জাহাজ আটকায় ইরান। এরপর দুটি দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। হেমায়েতি বলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় তেহরানের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনে কিভাবে ইরান তার সম্পদ ব্যবহার করে।
ইরানের মন্ত্রিসভার কাছে গভর্নর হেমায়েতি দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু জানিয়েছেন। তারই এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের একথা জানান হেমায়েতি। তিনি বলেন আলোচনায় তেহরান ও সিউল পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ইরানের যে সম্পদ আটকে আছে তা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। এরপর সিউল এক বিবৃতিতে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পর ইরানের এসব সম্পদ ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। হেমায়েতি আরো জানান অন্যদেশে ইরানের আটকানো এসব সম্পদের এখতিয়ার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এবং এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকই নেবে।
হেমায়েতি বলেন অবৈধভাবে ইরানের সম্পদ আটকানোর ফলে তার দেশের প্রভূত ক্ষতি সাধিত হয়েছে। দিন কয়েক আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে তার দেশের ১ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
ইরানের গভর্নর জানান সিউল তেহরানের কাছে জানতে চায় দক্ষিণ কোরিয়ায় আটক ৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ কিভাবে ফেরত দেওয়া যায়। তেহরান সে পথ বাৎলে দিয়েছে। তবে এ সম্পদ পণ হিসেবে নয় অর্থ হিসেবেই ফেরত আসছে ইরানে। ইরানের গভর্নর আরো জানান দক্ষিণ কোরিয়ার মত একই ধরনের আলোচনা চলছে ইরাক, ওমান ও জাপানের সঙ্গে। এবং এসব দেশ থেকে আটক ইরানের সম্পদ ফেরত আনা হবে বলে জানান হেমায়েতি।
আপনার মতামত লিখুন :