মাসুদ আলম: [২] মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ। পরে দুপুর ১২টা থেকে শাহবাগ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। সন্ধ্যা ৬টায় পুলিশ জলকামান ব্যবহার ও লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
[৩] অবরোধের ফলে কাঁটাবন, শাহবাগ ও বাংলা মোটর অভিমুখী সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিলো। এছাড়া আশপাশের সড়ক গুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
কর্মসূচিতে সংগঠনটির প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়।
[৩] আন্দোলনকারীরা বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি করছিলাম। বিনা উস্কানিতে পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালায়, জলকামান ব্যবহার করে। এতে প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আগামীতে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।
[৪] শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, অবরোধের কারণে পুরো এলাকায় যানচলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করা হলেও তারা শুনেনি। পরে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[৫] তাদের দাবিগুলো হলো- সব চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করতে হবে; সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযােদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাস করা মর্যাদা নির্ধারণ করা; মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে শহীদ মুক্তিযােদ্ধার ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের একজন প্রতিনিধিকে ভোটার এবং ১৯৭২ এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ভুয়া মুক্ত তালিকা প্রণয়ন করতে হবে; মুজিব কোটের পবিত্রতা রক্ষায় সিনেমা, সিরিয়াল নাটকে মন্দ চরিত্র মুজিব কোট পরা নিষিদ্ধ করাসহ মন্দ লােকদের মুজিব কোট পরা যাবে না, এই মর্মে আইন পাস করতে হবে; মুক্তিযােদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখলমুক্ত করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা; মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা নির্যাতন ও জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে, দুর্নীতি, মাদক, ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখাসহ কঠোর আইন প্রণয়ন করতে এবং হাসপাতাল, সরকারি অফিস, বিমান বন্ধসহ সবক্ষেত্রে বীর মুক্তিযােদ্ধাদের ভিআইপি মর্যাদা দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :