রাশিদ রিয়াজ : ১শ দেশের মধ্যে লন্ডন ভিত্তিক এডুকেশন ফার্স্টের (ইএফ ইংলিশ প্রফিশিয়েন্সি ইনডেক্স)এডুকেশন ফার্স্টের ইংরেজি দক্ষতা সূচকে ৪৬৭ পয়েন্ট নিয়ে গত বছরের চেয়ে এগিয়ে গেলেও তা নিম্নমানের বলা হচ্ছে। ২০১৯ সালে এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭১তম যাকে বলা হয়েছিল খুবই নিম্ন মানের। এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ২০১৮ সালে ৮৮টি দেশের মধ্যে ছিল ৬৩তম এবং ২০১৭ সালে ৮০টি দেশের মধ্যে ছিল ৪৬তম। সূচকের
পরিমাপ অনুযায়ী ৪৬৭ পয়েন্টও নিম্ন দক্ষতা নির্দেশ করে। ২৪টি এশীয় দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম।
এবছর ৬৫২ পয়েন্ট নিয়ে সূচকের শীর্ষে আছে নেদারল্যান্ডস। ৬৩২ ও ৬৩১ পয়েন্ট নিয়ে সূচকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড। ১শটি দেশের মধ্যে সর্বনিম্নে রয়েছে ৩৮১ পয়েন্ট নিয়ে তাজিকিস্তান। এর একধাপ আগে ৩৮৩ পয়েন্ট নিয়ে ৯৯তম অবস্থানে আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইরাক, ৯৮তম অবস্থানে থাকা ওমান পেয়েছে ৩৯৮ পয়েন্ট। এর এক ধাপ আগে ৯৭তম অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব। এ সূচকটি ইংরেজি দক্ষতা পরিমাপে বিশ্বের বৃহত্তম র্যাঙ্কিং। একশোটি দেশ ও অঞ্চলের ২২ লাখ মানুষের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সূচকের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
এবার বাংলাদেশের অবস্থান পাকিস্তান, নেপাল ও ভারতের চেয়ে রয়েছে পেছনে। ভারত রয়েছে ৫০তম, পাকিস্তান ৬১ ও নেপাল রয়েছে ৬০তম অবস্থানে। প্রথম ১০টি অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল, জার্মানি, বেলজিয়াম ও সিঙ্গাপুর। চীনের অবস্থান রয়েছে ৩৮তম। গত বছর ভারতের অবস্থান ছিল ৩৪, পাকিস্তান ৫৪, নেপাল ৬৬তম। কোভিড মহামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবে ইংরেজি শিক্ষার মানের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ইংরেজি দক্ষতা সূচক নির্ধারণে বিনামূল্যে অনলাইনে ইংরেজি পরীক্ষার মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করা হয়। এক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা দক্ষতায় গড় স্তর লক্ষ্য রাখা হয়। এধরনের পরীক্ষায় ১শটি দেশের কয়েক মিলিয়ন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।