সমীরণ রায়: [২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি আরও বলেন, ছাত্ররা যখন নিজেরাই হলে প্রবেশ করছে, তখন শিক্ষামন্ত্রী তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করে সব পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে। দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।

[৩] তিনি বলেন, আবদুল কাদের মির্জা ও আওয়ামী লীগের সার্কাসের রাজনীতির শিকার হয়ে একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু সাংবাদিক সংগঠনগুলো কোথায়? গণমাধ্যম সংকটময় সময় পার করছে। তারা স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারছে না।

[৪] মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

[৫] ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, বাংলার ছাত্রসমাজ শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে। সরকার মনে করেছে, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তাদের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। যে কারণে চক্রান্তের নীলনকশা অনুযায়ী ক্যাম্পাস বন্ধ রাখা হচ্ছে।

[৬] তিনি বলেন, এই সরকার কোনো কিছুকেই ভয় পায় না, তারা শুধু ছাত্র আন্দোলনকে ভয় পায়। ছাত্র আন্দোলন দমিয়ে রাখার জন্যই ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া হচ্ছে না।

[৭] বক্তারা বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতি ধবংসের পর সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধবংস করতে চায়। সব কিছু চলছে, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলছে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছিল। হঠাৎ করেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।