শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৪:০৯ সকাল
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৪:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বাঙালির অস্তিত্ব থাকত না: স্বপন ভট্টাচার্য (ভিডিও)

রাশিদুল ইসলাম : [২] আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে আজকে বাঙালির অস্তিত্ব থাকত না।’ রোববার ভারতের পেট্রাপোলে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময়ে তিনি ওই মন্তব্য করেন।

[৩] প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এ সময়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে বলেন, ‘এ পাশে আপনাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই যে তিনি একটি বক্তব্যে ‘জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছেন। আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিই, বাঙালি জাতির মুক্তি যুদ্ধের মূল স্লোগান ছিল ‘জয়বাংলা’। পাকিস্তানের উর্দু ভাষার বিরুদ্ধে, সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এই ‘জয়বাংলা’ স্লোগানই সমস্ত বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। আজও আমরা সেই জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে আমাদের সমস্ত কর্মকাণ্ড করি এবং ওই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়াইটা করে যাচ্ছি।’

[৪] মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি তার অস্তিত্বের পূর্ণতা পেয়েছিল। আমরা স্বীকার করি এপার বাংলা বিশেষ করে ভারতের তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীসহ সকল রাজনৈতিক শক্তি এবং সামাজিক শক্তি যারা মুক্তিযুদ্ধে অসহায় বাঙালির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সে কারণেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সফল হতে সহজ হয়েছিল। আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি ভারতবাসীর প্রতি, আপামর জনগণের প্রতি, সরকারের প্রতি। সামরিক বাহিনী যারা তাজা রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল সেই সব সৈনিকদের প্রতি। আজকে বাঙালি জাতির একটি আবেগের দিন কারণ বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে যদি আমরা বিজয় লাভ না করতে পারতাম তাহলে বাঙালির অস্তিত্ব থাকত না। আজকে শুধু বাংলাদেশের বাঙালি নয়, এপার বাংলা, ওপার বাংলার সকলস্তরের মানুষের আজকে একটি মহামিলন, বিজয় এবং একটি আবেগ কাজ করছে।’

[৫] সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন তার বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোসহ দুই বাংলার সুসম্পর্ক এবং আমরণ ঐক্যবদ্ধ থাকার উপরে জোর দেন।

[৬] পেট্রাপোলের ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বনগাঁ পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক শঙ্কর আঢ্য তার স্বাগত বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশ থেকে আসা মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়ে দুই বাংলার মিলনের উপরে জোর দেন।

https://media.parstoday.com/video/4bxybce20f57801tqa3.mp4

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়