আমিরুল ইসলাম: [২] গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর বলেন, আমাদের শহরের মানুষগুলো সুশৃঙ্খলভাবে মিছিল করে প্রভাত ফেরীতে যেতো; মহল্লায় মহল্লায় আল্পনা আঁকা হতো। সেই সংস্কৃতি এখন অনেকটা বাণিজ্যিক হয়ে গেছে। অনেকটা ফাঁকিঝুকির মতো হয়ে গেছে। শহীদ মিনারে আগে আগে ফুল দিয়ে চলে যাওয়ার মতো। প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারসহ কয়েকজন জরুরি ব্যক্তি দিতে পারেন। অন্যরা সকালে যাওয়াই ভালো।
[৩] তিনি বলেন, সেই ছবিটা আজো চোখে ভাসে, বঙ্গবন্ধু ও ভাসানী একসঙ্গে শহীদ মিনারে যাচ্ছেন, এই ছবিটা দৃশ্যমান। এটি ভোরে ছিলো। ছবি লাগানোর প্রতিযোগিতা এবং জুতা পায়ে দিয়ে শহীদ মিনারে ওঠে যাওয়ার বিশৃঙ্খলা কখনোই কাম্য নয়।
[৪] অভিনেতা পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি খুব ছোটবেলা, যখন থেকে হাঁটা শুরু হয়েছে তখন থেকেই অভিভাবকদের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে শহীদ মিনারে যেতাম। তখন শীত পড়তো, ঘাসের ওপর শিশির থাকতো এবং ফুল যোগাড় করতাম বিভিন্ন বাড়ির বাগান থেকে। এই সংস্কৃতিটাতেই আমরা দীর্ঘদিন অভ্যস্ত ছিলাম। এখনো আমি ভোরবেলা খালি পায়ে শিশির ভেজা ঘাসের ওপর দিয়ে হাতে ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়ার পক্ষপাতী এবং সেটার জন্য সবাইকে বলি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :