হাবিবুর রহমান: [২] বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে নতুন তিতার পাড়াতে, সরকারি বন বিভাগের পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে স্বপ্নের অবৈধ দালান ঘর। এর দেখাদেখি স্থানীয় অনেকে আরও বনভূমি দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে পাহাড় নিধনের পাশাপাশি, উজাড় করছে বনের গাছপালা। পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যও ধ্বংস হচ্ছে। পরিবেশের এই বিপন্নতা নিয়ে বন বিভাগ একেবারেই উদাসীন।
[৩] শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বাঁকখালী রেঞ্জের আওতাধিন কচ্ছপিয়ার নতুন তিতারপাড়ার মুরারপাড়ায় বনভূমির দখলকৃত বিশাল পাহাড় কেটে দালান ঘর নির্মাণের কাজ পুরো ধমে চলছে। এতে প্রশাসনের চোখে ফাকিঁ দিতে নির্মাণকৃত দেওয়ালের দ্রুত টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরাও করা হচ্ছে।
[৪] জানতে চাইলে দালান নির্মাণ কাজের শ্রমিক মনজুর আলম বলেন, ওই এলাকার মৃত রশিদ আহাম্মদের ছেলে প্রবাসী মোঃ এরশাদ ও তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ৫/৬ জন শ্রমিক দিয়ে, ১ মাস ধরে বাড়ি নির্মাণের কাজ চালাচ্ছে।
[৫] স্থানীয় আবদুল আজিজসহ অনেকে জানান, গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালীদের মদদসহ বন বিভাগের কতিপয় কর্তাদের ম্যানেজ করে পাহাড় কেটে অবৈধ এই ঘর নির্মাণ হচ্ছে।
[৬] এ ব্যাপারে অভিযোগক্ত এরশাদের স্ত্রী কামরুন নাহার বলেন, বনভূমির জায়গা সেটা ঠিক আছে। তবে স্থানীয় মিয়ার (বনবিট কর্মকর্তা) সঙ্গে কথা বলেই তাদেরকে টাকা দিয়ে ঘরটি তৈরি করা হচ্ছে।
[৭] একই কথা বলেন, এরশাদের ভাই রবিউল্লাহ। তিনি বলেন, বনভূমির জায়গা সেটা ঠিক আছে। তবে, সে নিজেই স্থানীয় মিয়ার (বনবিট কর্মকর্তা)কে ম্যানেজ করে শ্রমিক দিয়ে ওই অবৈধ ঘর নির্মাণের কাজ করাচ্ছেন। তাছাড়া ওই জায়গায় একাধিকবার বনবিভাগের কতিপয় লোকজন এসে ওই পাহাড় কাটা ও নির্মাণ কাজ দেখভাল করেছেন বলে দাবি করেন রবিউল্লাহ।
[৮] তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন স্থানীয় মৌলভিকাটা বনবিট কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, বনভূমির বিষয়ে কোনো ছাড় নেই। এই ঘর উচ্ছেদে অভিযান চলবে।
[৯] কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বাকখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সরওয়ার আলম বলেন, ‘রামুতে বনভূমিতে তৈরি করা দালান ঘর উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে। সব অবৈধ ঘর পর্যাক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।’ সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :