রাজু চৌধুরী: [২] জেলা প্রশাসনের তিন জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরীর জিইসি মোড়,কাজির দেউরি,এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, জামাল খান ও চকবাজারে অভিযান পরিচালিত হয়।
[৩] শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টা থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক জিইসি মোড়ে বিভিন্ন দোকান, বিপনি বিতান ও প্রতিষ্ঠানে অভিযানে প্রায় ২০ টি দোকান ও প্রতিষ্ঠানকে বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড টাঙানোর জন্যে সতর্ক করেন।
[৪] এতে ওয়েল ফুড, সুগার বান, সেন্ট্রাল শপিং কমপ্লেক্স, মিষ্টি বিতান, ডিয়ারলি আইসস্ক্রিম, ফ্লেভারস , জামান রেষ্টুরেন্ট মেজবানি এন্ড কাবাব, নভোএয়ার লিমিটেড,রয়েল পার্ক রেসিডেন্সিয়াল হোটেল, মিনিসো, বি-টু, ঢাকা বুট বার্ন, হোসাইন লাইটিং, ভিআইপি অপটিকসনাকে সাইনবোর্ড বাংলায় টাঙানোর জন্যে সতর্ক করা হয় । একইসঙ্গে আগামী ৩ দিনের মধ্যে বাংলায় সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।
[৫] অন্যদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান চকবাজার,কাজির দেউরি ও এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ২০ টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেন।
[৬] তিনি সবাইকে ইংরেজিতে লিখিত সকল সাইনবোর্ড উঠিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন নগরীর জামাল খান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন। নামফলকে (সাইনবোর্ড) বিজাতীয় ভাষা সরিয়ে বাংলা লেখার নির্দেশ প্রদান করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অভিযান চালানো হয়।
[৭] তাঁরা বাংলাদেশে সংবিধান, আইন ও আদালতের নির্দেশনার প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে সকল প্রতিষ্ঠানকে নামফলক বাংলায় লেখার নির্দেশ দেন।
[৮] ম্যাজিস্ট্রেটরা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন। নির্দেশনা অমান্য করলে এরপর থেকে আইনের আওয়তায় আনা হবে।
[৯] এই অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষনা কেন্দ্র ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান ও বিজয়’৭১ উপদেষ্ঠা ডাঃ মাহফুজুর রহমান, গণ অধিকার চর্চা কেন্দ্রের সুযশময় চৌধুরী সোলেমান খান, মশিউর রহমান খান, আবদুল মাবুদ, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন ডা. আর কে রুবেল, বিজয়’৭১ সভাপতি সজল চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কাজী রাজেশ ইমরান, জয়নুদ্দীন জয় প্রমুখ।