শাহীন খন্দকার: [২] শ্যামলী শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সফি আহমেদ বলেন, বাচ্চাঁদের অ্যাজমা, এলার্জির সমস্যা হয় ও শ্বাসকষ্ট বাড়ে। তাই শিশুকে বৃষ্টি, বাতাস বা ধুলাবালির দিনে বেরোতে দেবেন না। ধুলোবালি, স্যাঁতস্যাঁতে ভাব স্থান থেকে শিশুকে দূরে রাখুন। যারা ফ্লাটবাড়িতে বসবাস করেন, তাদের শিশুদের উন্মুক্ত আলোবাতাসে খেলাধুলা করার ব্যবস্থার কথাও বললেন।
[৩] শ্বাসকষ্ট বেশি হলে দিনে দু’বার নেবুলাইজ করার পরামর্শ দেন। এছাড়া বংশগত হাঁপানি বা ঠান্ডা কাশির প্রবণতা বেশি থাকলে প্রতি মৌসুমে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন নিতে পারেন। শ্যামলী অ্যাজমা ও টিবি হাসপাতালের সহকারি পরিচালক আয়শা আক্তার বলেন, শিশুর অ্যাজমা হলে ভয়ের কিছু নেই।
[৪] আপনার সতর্ক দৃষ্টি ও সাবধানতাই আপনার সন্তানকে দিতে পারে এক নির্বিঘ্ন হাসিখুশী শৈশব। অ্যাজমা বা হাঁপানি একটি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট। শিশুদের সাধারণ দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। এই রোগের চিকিৎসা শুরুতে নেওয়া হলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
[৫] তিনি বলেন, অ্যাজমা ছোঁয়াচে রোগ নয়। পারিবারিক বা বংশগতভাবে অ্যাজমা হতে পারে। আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেয়ে অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তাছাড়া মার সংস্পর্শে থেকেও অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা নেই।
[৬] শিশু হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক অ্যাজমা বিশেষজ্ঞ সহকারি অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার সরকার বলেন, অ্যাজমা শ্বাসনালির অসুখ। প্রদাহের ফলে অতিরিক্ত মিউকাস তৈরি হয় ও শ্বাসনালির মাংসপেশি সংকুচিত হয়। এর ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসে বিঘ্ন ঘটে। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।
[৭] তিনি আরও বলেন, সঠিক কারণ এখনও উদঘাটিত হয়নি, তবে ধুলাবালি, ভাইরাস ইনফেকশন, ঠাণ্ডা, এলার্জি, ধোঁয়া, পাখির পালক, জীব-জন্তর পশম, কিছু খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদি প্রভাবক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। শ্বাস কষ্ট মানেই অ্যাজমা নয়।
[৮] দুই ধরনের ব্রঙ্কোডাইলেটর বা শ্বাসনালি প্রসারক আছে, যেমন, ক্ষণস্থায়ী ব্রঙ্কোডাইলেটর আর সালবিউটামল। এসব ওষুধ দিনে তিন-চারবার ব্যবহার করতে হয়। আর দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কোডাইলেটর যেমন ব্যামবিউটামল। এসব ওষুধ দিনে একবার ব্যবহার করতে হয়। রাত্রিকালীন হাঁজলতে মোডিফাইড রিলিজড থিওফাইলিনের বিকল্প হিসেবে ব্যামবিউটামল ব্যবহার করে ভালো সুফল পাওয়া যায়।
আপনার মতামত লিখুন :