হারুনুর রশীদ:[২] শহরে বৈদ্যুতিক খুটি সরানোর কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাত ১০টার দিকে রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের অফিস ঘেরাও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ বিদ্যুৎ বিভাগের সঞ্চালন লাইন বন্ধ না রেখে ১১ কেভি লাইন চালু রাখার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
[৩]স্থানীয় দোকানদার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,শুক্রবার সকালে রাঙামাটি শহরে টিএন্ডটি মসজিদের সামনে বিদ্যুতের খুটি সরানোর অনেক শ্রমিক কাজ করছিল, খুটির ওপরে সঞ্চালন লাইনের কাজ করার সময় হঠাৎ বাপ্পী (২৫) নামে এক শ্রমিক বিদ্যুৎ স্পষ্ট হয়ে ৩০ ফুট নীচে মাটিতে পড়ে গিয়ে গুরুত্বর আহত হয় ।
[৪]প্রথমে তাকে দ্রুত রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আংশকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল রেফার করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেলে রাতে বিদ্যুৎ শ্রমিকের মৃত্যু হয়।শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টায় রাঙামাটিতে তার লাশ নিয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ অফিসে ঘেরাও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
[৫]এ সময় রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার দোষারুপ করে শ্লোগান দেয়। ১১ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বন্ধ না করায় বাপ্পী মৃত্যুও জন্য দায়ী করা হয়। এই সময় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়ক দুইঘন্টা অবরোধ করা হয়। রাত সাড়ে ১১টায় দিকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আশ্বাসে তুলে নেয়া হয়।
[৬] নিহত মো.বাপ্পী সুখীনীল গঞ্জ মোল্লাপাড়া এলাকার কুদ্দুছের পুত্র । নিহত বাপ্পীর বিবাহিত চার বছরে শিশু সন্তান রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।এই ব্যাপারে উপ-সহকারি প্রকৌশলী এরশাদ আলী’ প্রতিবেদকে বলনে ,এই ঘটনা আমি কিছু জানি না ,সহকারী প্রকৌশলী ও নির্বাহী থাকতে আমাকে কেন জড়ানো হচ্ছে জানি না ।
[৭]দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে খুটি সরানোর শ্রমিক কুদ্দুছকে জিজ্ঞাসা করলে সেই জানায় ,নিবার্হী প্রকৌশলীর মৌখিক নির্দেশে কাজ করছে । যা আমার কাছে ভয়েন্স রের্কড আছে ।এই ঘটনার বিষয়ে খুটি সরানো নিয়োজিত শ্রমিক কুদ্দুছ এর মুঠোফোনে যোগাযোগা সেই রিসিভ করেনি।রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ কান্তি মজুমদার জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনার প্রাণ ফিরে দিতে পারবো না,বাপ্পীর পরিবারের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে আপোষ হয়েছে। সম্পাদনা: অনন্যা আফরিন