শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৪০ দুপুর
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মঞ্জুরে খোদা টরিক: মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের যুদ্ধে যাওয়ার বয়স ছিলো, তারা কেন যুদ্ধে যাননি?

মঞ্জুরে খোদা টরিক: [১] আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিই। আমি যখন এসএসসি পরীক্ষা দেবো তখন ঘাতক জামায়াত-শিবিরবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে জামায়াত নেতা হত্যা মামলার প্রধান আসামি হই। আর আমি যখন এইচএসসি পরীক্ষা দেবো, তখন আমি প্রথম গ্রেফতার হই। প্যারোল থেকে পরীক্ষা দিই। কেন এ গল্প করছি? আমার মধ্যে প্রায়ই একটি প্রশ্ন প্রবল হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের যুদ্ধে যাওয়ার বয়স ছিলো, তারা কেন যুদ্ধে যাননি? কোনো অশিক্ষিত সাধারণ মানুষ হলে ভিন্ন কথা, কিন্তু যেসব শিক্ষিত, রাজনীতি সচেতন. স্বাধীনতা প্রিয় মানুষ আছেন- তারা কেন অস্ত্র হাতে নেননি? সে কারণেই কি তাদের অনেকে- মুক্তিযুদ্ধ, গণঅভ্যুত্থানের ছবি দেখলে হীনমন্যতায় ভোগেন? মেনে নিতে পারেন না? যাদের বুকে বারুদ ছিলো, দেশপ্রেমের আগুন ছিলো-বয়স তাদের বাধা হয়নি। যারা যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধের, বীরত্বের এমন ছবি দেখে-নিশ্চয়ই তাদের মন গর্বে ভরে উঠবে।

মাত্র ১২ বছর বয়সে স্টেনগান হাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আবু সালেক, রাইফেল হাতে টাঙ্গাইলের বিচ্ছু লালু, মেশিনগান হাতে কুড়িগ্রামের তারামন বিবিরা যুদ্ধ করেছেন, পেয়েছেন বীরপ্রতীক খেতাব। এমন অনেক ইতিহাস সে সময়ের, সে বয়সের অনেককেই কি বিষয়টা লজ্জিত করে, অস্বস্তি দেয়? প্রশ্ন জাগে।

[২] আহমেদ হুসেন কানাডার বর্তমান অভিবাসী, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব মন্ত্রী (Minister of Immigration, Citizenship and Refugees) নিজেই একজন শরণার্থী মানে রিফিউজি ছিলেন। হুসেন সোমালিয়া থেকে এদেশে রিফিউজি হিসেবে এসে নিজ যোগ্যতায় রিফিউজি মন্ত্রী হয়েছেন। এ তথ্য গোপন না, অনলাইন এবং তার বায়োগ্রাফিতে পাবেন। যারা মনে করেন রিফিউজি আর লুটেরা এক, তারা কী বলবেন? লিবারেল সরকার এমন একজন ভয়ংকর অপরাধীকে মন্ত্রী করলো, কী সাংঘাতিক। আপনি আর এ দল করবেন, যারা জেনেশুনে এমন অপরাধীদের মন্ত্রী বানায়? অভিবাসী-শরণার্থীদের মধ্যে যারা বিভাজন করেন, তারা কি এদেশের মূল্যবোধে বিশ্বাস করেন? কেন কানাডা শরণার্থীবান্ধব একটি অভিবাসী দেশ, জানেন? কানাডার সমাজ-অর্থনীতিতে রিফুজিদের ভ‚মিকা-অবদান নিয়ে আরেকদিন লিখবো। [৩] কানাডার বেগমপাড়া ও লুটেরা বিরোধী সংগ্রাম করে আমরা দেশ-বিদেশে খরব তৈরি করেছি, ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। যারা একে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন, বিভ্রান্তি ছড়াবেন, বাধাগ্রস্ত করবেন, তারাও লুটেরাদের সমার্থক হয়ে যাবেন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়