লিহান লিমা: [২] যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা মিয়ানমারের তিন সামরিক জেনারেলের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞারোপ করবে এবং দেশটিতে থাকা তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে। কানাডা বলেছে, তারা ৯জন সেনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে। আল জাজিরা, সিএনএ
[৩] মিয়ানমারের তরুণ নেতা ও অধিকার কর্মীরা এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছেন। অধিকার কর্মী থিনজার সুনলে টুইটারে বলেন, ‘আমরা অন্য দেশগুলোকেও সমন্বিতভাবে এমন পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এখন ইইউর নিষেধাজ্ঞার অপেক্ষায় রয়েছি।’
[৪]এর আগে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক জেনারেলদের ওপর নিষেধাজ্ঞারোপের ঘোষণা দিয়েছিলো। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক রাখা চীন ও রাশিয়া দেশটির প্রতি নরম আচরণ দেখাচ্ছে।
[৫] যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দেশটির জনগণের ওপর অবিচারের জন্য জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার আওতায় আনবো।’ ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঙ্ঘু সম্প্রদায়ের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লিয়াংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যুক্তরাজ্যের।
[৬] নতুন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মিয়ানমার সরকারের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য আসে নি। তবে মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তারা ধারণা করছেন বিভিন্ন দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
[৭] বৃহস্পতিবার জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি বলেছেন, মিয়ানমারে অতিসত্ত্বর গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে একমত হয়েছেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে মিয়ানমারে শীঘ্রই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ফিলিয়ে আনার বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপের বিষয়ে একমত হয়েছেন।
[৮] গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখলের পর থেকে বৈদেশিক চাপ ছাড়াও দেশের প্রায় ৫ কোটি ৪০ লাখ নাগরিকের বিক্ষোভের মুখে পড়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। লাখো জনতা সেনা শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :