শিমুল মাহমুদ ও মহসীন কবির: [২] বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই অ্যাপ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় তিনি বলেন, ‘এখন থেকে যেকোনো ব্যক্তি সরাসরি নিবন্ধন করতে পারবেন। অর্থাৎ সিস্টেমটা আরও সহজ হয়ে গেল এবং রেজিস্ট্রেশনের গতি আরও বেড়ে গেল।’
[৩] আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক জানান, অ্যাপ চালু হওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদের এখন কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে না। তারা এখন টিকা কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান করবেন। এতে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেন্ট্রাল ডেটাবেইজে সংরক্ষিত টিকাগ্রহীতার তথ্য যাচাই ও আপলোড হয়ে যাবে। তবে সাধারণ মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবে না।
[৪] পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ পর্যন্ত এমন কোনো অঘটনের কথা আমরা শুনি নাই যে কোনো ব্যক্তি শারীরিকভাবে খুবেই অসুস্থ। প্রমানিত হয়েছে সবচেয়ে এই টিকাটি ভালো এবং সবচেয়ে সহনশীল।’
[৫] নিবন্ধের পর এসএমএম পাওয়ার ক্ষেত্রে ধীরগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আগে নিবন্ধনের গতি স্লো। ৭ দিনে নিবন্ধন হয়েছিলো মাত্র ১৫ হাজার। এর পরের ৭ দিন নিবন্ধন হচ্ছে লাখ লাখ। কাজেই গতি একটু কমবেই।
[৬] তিনি জানান, ২২ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরো ২০ লাখ টিকা আসছে। মার্চে আরো বেশি টিকা পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে ‘ডব্লিও এইচ ও’ এর সঙ্গে যোগাযোগে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে বড় সংখ্যার টিকা পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
[৭] স্পট নিবন্ধনের বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এখন যেভাবে নিবন্ধন হচ্ছে আমরা সেভাবে চিন্তা করছি। যেহেতু মানুষের অনেক সাড়া পাচ্ছি; কাজেই স্পট নিবন্ধন এ মুর্হুতে আর করছি না। আগামীতে প্রয়োজন হলে তখন সেটা আবার দেখবো।