আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] বড় শহরগুলোতে আরও সেনা মোতায়েন করেছেন দেশটির জেনারেলরা। এরপরেও নতুন উদ্যমে বিক্ষোভ শুরু করেছেন বার্মিজ নাগরিকরা। শুধু রাস্তায় নয়, এবার তারা ট্রেন আটকেও আন্দোলন শুরু করেছেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, নির্বাচনের অপেক্ষা করা যাবে না। অং সান সুচিকে মুক্তি দিয়ে দেশের নেতৃত্ব বেসামরিকদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। সিএনএন
[৩] মবুধবার ইয়াঙ্গুনের কেন্দ্রস্থলে একটি বড় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এদিনই সুচির বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছে জান্তা সরকার। এই খবর প্রকাশ পেতেই উত্তেজিত হয়ে উঠে জনতা। এই মিছিলের আয়োজন খিন সানদার ফেসবুকে লেখেন, ‘আসুন আমরা লাখো কোটিতে জড়ো হই। আমরা স্বৈরাচারের অবসান ঘটাই।’ রেডিও ফ্রি এশিয়া
[৪] সুচির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির একমাত্র গ্রেপ্তার না হওয়া সদস্য কেই টোয় বলেন, ‘আসুন আমরা পদচাত্রা অব্যাহত রাখি। অভ্যুত্থানের সরকারকে আমাদের শক্তি দেখাতে হবে। তারা আমাদের তরুণদের ভবিষ্যত, দেশের ভবিষ্যত ধ্বংস করে দেবে।’ এপি
[৫] মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুস বলেছেন, দেশটির ভবিষ্যতের সংঘাতের শঙ্কায় তিনি আতঙ্কিত। তিনি মনে করেন, সামরিক বাহিনী যে কোনও সময় সাধারণ মানুষের উপর খড়গহস্ত হতে পারে।
[৬] অ্যান্ড্রুস জানান, তিনি খবর পেয়েছেন, অন্যান্য অঞ্চল থেকে সৈন্যদের ইয়াঙ্গুনে নিয়ে আসা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে এই ধরণের ট্রুপ মুভমেন্ট হত্যাকাণ্ডের জন্ম দিয়েছে। জন্ম দিয়েছে গুম এবং গণগ্রেপ্তারের। আমার ভয়, মিয়ানমারের জনগনের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী আরও বড় ধরণের অপরাধ করতে যাচ্ছে। ’
আপনার মতামত লিখুন :