শাহীন খন্দকার: [২] কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামশর্ক কমিটির ২৬তম অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুল্লাহ এ আহবান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি আরও বলেন, সরকার সফলতার সঙ্গে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছেন। প্রাথমিক ভয়-ভীতি, গুজব উপেক্ষা করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী টিকা নেওয়ার জন্য সর্বস্তরের জনগণও উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
[৪] উক্ত আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশে সুশৃঙ্খলভাবে টিকা কর্মসূচী চলছে। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষক ডা. এ এস এম আলমীগর হোসেন প্রেরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন। প্রেস-বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই বিনা মূল্যে টিকা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কমিটি মতামত প্রকাশ করেন।
[৬] জাতীয় পরামর্শক কমিটি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের সময় নিয়ে আলোচনা করে এবং মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রস্তাবনা অনুযায়ী ০৮ থেকে ১২ সাপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বৈজ্ঞানিক ভাবে যৌক্তিক।
[৭] এই প্রস্তাবনা অনুসরণ করার জন্য সরকারকে বিশেষ ভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়। ভ্যাকসিনের মেয়াদকাল (Expiry Date) এর দিকে লক্ষ্য রেখে দ্রুত কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন ও বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
[৮] ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হওয়ার পর স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পূর্বের মতো প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ার ও পরামর্শ দেয়া হয় বলে জানিয়েছে জাতীয় কারিগরি পরামশর্ক কমিটি।