দেবদুলাল মুন্না: [২] সিরিঞ্জ উৎপাদন বাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে দেশটিতে করোনার টিকাদান কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় ১৩ কোটি মানুষের দেশ জাপান। গত মাসে সরকার ১৪ কোটি ৪০ লাখ করোনা টিকা পাওয়ার জন্য মার্কিন কোম্পানি ফাইজারের সঙ্গে চুক্তি করে। আগামী কাল বুধবার থেকে দেশটিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা। তবে জাপান টাইমসে বলা হয়, সীমিত পরিসরে টিকা দেওয়া শুরু হতে পারে।
[৩] তবে গার্ডিয়ান ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সিরিঞ্জ সংকট দেখা দেওয়ায় জাপানের লাখ লাখ ডোজ করোনা টিকা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষও বেশ উদ্বিগ্ন।
[৪] রয়টার্স জানায়, ফাইজার বলেছে, একটি শিশিতে ছয়টি শট থাকে। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ সিরিঞ্জ প্রয়োজন হয়; যা ছয়টি ডোজ নেওয়ার জন্য একটি ইনজেকশনের মাধ্যমে দিতে পারে। কিন্তু দেশটির সরকার টিকাদান শুরুর জন্য যেসব ইনজেকশন সংরক্ষণ করেছে সেগুলো দিয়ে পাঁচটি শট দেওয়া যায়। বিপত্তিটা শুরু হয়েছে এখানেই।
[৫] টিকাদান শুরুর ব্যাপারে জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি কাতসুনোবো কাতো বলেছেন বিশেষ এই সিরিঞ্জ যোগাড় করার চেষ্টা করছি আমরা।
[৬] তবে প্রতিটি শিশি থেকে ছয় ডোজ টিকা দেওয়ার শর্তে জাপান ১৪ কোটি ৪০ লাখ টিকা পাওয়ার চুক্তি করেছিল কিনা এ নিয়ে ফাইজার কর্তৃপক্ষ ও জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না। জাপানকে দ্রুত টিকার আওতায় নিয়ে আসার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার সরকার।
আপনার মতামত লিখুন :